Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পিবিআই

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২১, ৬:১০ পিএম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে ১২জন আসামিকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরা হলো, কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা ইউসুফ নবী, আবদুল আমিন, আলমগীর, রাহাত, আজিজুল হক মানিক, ফয়সাল আলম টিটু, বিক্রম চন্দ ভৌমিক, সুজায়েত উল্যাহ, দেলোয়ার, মো. সেলিম, মাসুদুর রহমান।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবদমান কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় ১৫টি মামলা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন মামলায় এ পর্যন্ত ২৭জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মালায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পিবিআই নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ আসামিকে শোন অ্যারেস্টের দেখানোর জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ববাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।

এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ