সিলেটসহ সারা দেশে বাড়ছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেকারনে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে সিলেটজুড়ে। সে ভয়কে জয় করতে বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা। এদিকে, সিলেটে প্লাজমার চাহিদা কিছুটা পূরণে তৎপরতা চালাচ্ছে ‘ইমারজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম’। করোনা মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত অ্যান্টিবডি চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত। বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারকরাও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাজমা থেকে অ্যান্টিবডি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে।

সিলেটে এই প্লাজমার চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে ‘ইমারজেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম’র প্রধান সমন্বয়ক মুক্তার হোসেন মান্না বলেন, করোনার শুরু থেকে প্লাজমা কালেকশন করছি আমরা। এ পর্যন্ত শতাধিক রোগীকে প্লাজমা সরবরাহ করে দিতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, করোনার প্রথম দিকে প্লাজমার চাহিদা একটু বেশি ছিলো। তবে এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। প্রথমদিকে আমরা প্রতিদিন ১/২ টা রিকুয়েস্ট পেতাম। যেহেতু আমরা একমাত্র টিম, তাই অনেক কষ্ট হতো প্লাজমা কালেকশনে। তারপরেও রোগীর পরিবারকে নিরাশ করিনি। মুক্তার হোসেন মান্না বলেন, গত ৩-৪ মাসে আমরা প্রতিদিন ৫-৬ টা করে রিকুয়েস্ট পাচ্ছি এবং গত ১ সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই অনেকগুলো রিকুয়েস্ট আসছে।

প্লাজমা টিমের সদস্য এসএমপি পুলিশের নায়েক সফি আহমেদ বলেন, করোনাকালীন সময় খাদ্যসামগ্রী, করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন সহ চিকিৎসাক্ষেত্রে প্লাজমা সংগ্রহ করেছি। সম্প্রতি করোনা রোগী বৃদ্ধিতে চাহিদাও বাড়ছে প্লাজমার ।