বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুমূর্ষু জুনায়েদ এখনো সংজ্ঞাহীন। দু’দফায় হামলা হয়েছে তার ওপর। শরীরে ৪০টি এবং মাথায় শতাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে সে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রকাশ্যে অভিনব পদ্ধতিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ১২ মার্চ বিকেলে জেলরোডে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে ফাঁকা হয়ে যায় সড়ক। এরপর নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এলোপাথাড়ি কোপে জুনায়েদের নাড়ী-ভ‚ড়ি বের হয়ে যায়। ছোরার আঘাত কিডনিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সালিশ সভায় বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহসিন খন্দকার এর শ্যালকের উপর প্রতিপক্ষের লোকেরা ভয়ঙ্কর হামলা করেছে। এ সময় আরো ৪ যুবক আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে ১৭ জনের বিরুদ্ধে। হামলাকারী কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, মহসিন খন্দকারের সাথে পূর্ব মেড্ডার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাসিরের বিরোধ চলছিলো। বিরোধের কারণে স¤প্রতি দুইপক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। সঙ্গীতাঙ্গনে সালিশে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। সালিশ সভা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভ‚ইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী উপস্থিত ছিলেন। সালিশে উভয়পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করে ভবিষ্যতে উভয় পক্ষকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার সিদ্ধান্ত হয়। সালিশ সভার পর পর মহসিন খন্দকার তার লোকজন আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে বের হয়ে জেলরোডে আসা মাত্রই উৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন মহসিন খন্দকার ও তার লোকজনের ওপর হামলা করে। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয় হামলাকারীরা জুনায়েদ খন্দকারকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় মাসুম বিল্লাহ, কাজী মনির, মিকেল হোসেন হিমেল, আকিব মিয়া, অন্তর, শান্ত, নাইম বিল্লাহ, সাব্বির, জাকির, উৎস, চোরা শাকিল, আমিনুল জুয়েল, ইয়াছিন, নাসির, জসীম, বাপ্পী দেবনাথের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।