যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
রক্তের গ্রুপের কারনে মানুষের মধ্যে নানা রোগের সংক্রম দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো হৃদরোগ। বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, মানসিক চাপ, উদ্বেগসহ বিভিন্ন কারণে এই রোগ দেখা দেয়। তবে এগুলোর বাইরেও রক্তের গ্রুপের ওপরই অনেকটা নির্ভর করে কারও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ঠিক কতটা রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই সামনে এসেছে।
সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে গবেষকদের দাবি, ‘ও’ গ্রুপ ছাড়া অন্য ব্লাড গ্রুপ, যেমন ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের রক্ত যাদের রয়েছে, তাদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। ‘ও’ গ্রুপ ছাড়া বাকি এই তিনটি ব্লাড গ্রুপের রক্তে ৯ শতাংশ করোনারি ইভেন্ট এবং ৯ শতাংশ কার্ডিও ভাস্কুলার ইভেন্টের সম্ভাবনা বেশি।
গবেষণায়া দেখা গেছে, ভন ইউলব্র্যান্ড ফ্যাক্টরের (রক্ত পাতলাকারী প্রোটিন) ঘনত্ব বেশি থাকে এই গ্রুপগুলোর রক্তে। এই প্রোটিনটি থ্রম্বোটিক ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। যদি কোনো ব্যক্তির এই গ্রুপের রক্ত থাকে, তাহলে তাকে আরও যত্নবান ও সচেতন হওয়া উচিত।
গবেষণা কী বলছে?
সম্প্রতি হওয়া ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপের রক্তধারী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। গবেষণায় চার লাখেরও বেশি মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ বা ‘বি’, তারা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন বেশি। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় এই গ্রুপের রক্তধারী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া ‘ও’ গ্রুপের রক্তধারী মানুষের তুলনায় ‘বি’ গ্রপের রক্তধারী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ বেশি বলেও জানাচ্ছে গবেষণা।
২০১৭ সালে ১৩ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর ইউরোপীয় সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি’র পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, ‘এ’ এবং ‘ও’ রক্তধারী মানুষ করোনারি এবং কার্ডিয়াক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৯ শতাংশ বেশি।
রক্তের ধরনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কীভাবে বাড়তে পারে সেটিও গবেষকরা জানিয়েছেন। গবেষণার ফলাফল অ্যারিওরিস্ক্লেরোসিস, থ্রোম্বোসিস এবং ভাস্কুলার বায়োলজি, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত হয়েছিল।
যাদের ঝুঁকি রয়েছে
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। কোলেস্টেরলের ফলেও বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। ‘ও’ ছাড়া অন্য গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে গ্যালাকটিন-৩-র মাত্রা থাকে বেশি। যা ইনফ্লামেশনের জন্য দায়ী। এ কারণেই ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের রক্তে হার্ট অ্যাটাকের হার বেশি।
কেন এমন হয়?
ইউরোপীয় সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি বলছে, ‘এ’ থেকে ‘ও’ টাইপ রক্তের গ্রুপগুলোতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা এর অন্যতম কারণ। এই গ্রুপের রক্তধারী মানুষের মধ্যে তা দ্রুত ঘটে।
২০১৭ সালে পরিচালিত একটি জরিপ অনুসারে, ‘ও’ গ্রুপের রক্তধারী নন, এমন ব্যক্তিদের নন-ওয়েলব্র্যান্ড ফ্যাক্টরের ঘনত্ব বেশি। এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রোটিন যা থ্রোম্বোটিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।