পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। তা পেছাতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংক্রমণ এমন থাকলে বা আরও বাড়লে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নন বিশেষজ্ঞরা। আর খুললেও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সীমিত আকারে খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, আমরা প্রতিদিনই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে বিবেচনার। করোনার ঊর্ধ্বগতি থাকলে জাতীয় পরামর্শ কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে তবে সিদ্ধান্তে ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজ শনিবার এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেখানে পর্যালোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক থাকতে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি-না তা পর্যালোনা করতে ফের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। শনিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক, ইউজিসির কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আরেকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। সেজন্যই আজ শনিবার বিকেলে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতির সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হয়েছে। অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপাওর সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কাজ শেষ। শিক্ষকদের টিকা দেয়ার কার্যক্রমও চলছে দ্রুতগতিতে। তবে স্কুল খুললে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় শষ্কার কথা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন। এ উদ্বেগের বিষয়টি আজ সভা হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা- সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ৩০ মার্চ থেকে বিদ্যালয়, ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।