বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের শিবচরে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতনে তিন লাখ টাকায় মীমাংসার ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে হওয়ার তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. রহিমা খাতুন এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর, মাদারীপুর-এর উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়। শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীদের সাথে বলে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক ইনকিলাবসহ একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
উল্লেখ্য, শিবচর উপজেলার উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিছুদিন আগে দশ বছরের সমবয়সী দুই শিশুকন্যাকে জাম্বুরা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের ভিতরে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় প্রতিবেশী আকমান মাদবর (৫০)। প্রথমে বিষয়টি গোপন থাকলেও পরবর্তীতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হাওলাদার নির্যাতনের শিকার ওই শিশুকন্যার বাড়ির উঠানে মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক করেন। শতশত মানুষের উপস্থিতিতে সালিশে অভিযুক্ত আকমান মাতবরকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশদাররা অভিযুক্তকে ১০ বেত্রাঘাত ও একাধিক কিল ঘুষি দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় চেয়ারম্যান। এরপর পরই অভিযুক্ত আকমান অসুস্থ হয়ে পড়লে থাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে আকমানের পরিবারের লোকজন। সালিশীর ১৬দিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিত দুই শিশুর পরিবারকে চেয়ারম্যানের করা সালিশীর জরিমানার ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়নি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে চাপের মুখে রাখা হয় ওই শিশু দুইটির পরিবারকে। এক পর্যায়ে শিবচর থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পারলে গত ০৮ মার্চ সোমবার বিকেলে নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সতত্যা পাওয়ায় ওইদিনই রাতে আকমানকে একমাত্র আসামি করে এবং চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে সালিশী করে সমাধান করে দিয়েছে উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই শিশুর পরিবার। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে বুধবার গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, ‘শিশু নির্যাতনের মত ঘটনা চেয়ারম্যান সালিশী কোন অবস্থাতে করতে পারেনা। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।