বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার খাজানগরে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে সজিব স্বপ্না'র বিয়ের অপরাধে পিটিয়ে সজিবের হাত পা ভেঙে দিয়েছে স্বপ্নার প্রভাবশালী বাপ-চাচারা! বিচার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরছে সজিবের গরীব পিতা নজরুল! এ ছাড়াও ছেলে মেয়েকে জোরপূর্বক তালাক নামায় সাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন মেয়ের পরিবারের লোকজন।
এদিকে সজিবকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে মারধোর করার সময় সজিবের বাবা ছুটে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম মোল্লার কাছে। কালাম মোল্লাও ছুটে যান ঘটনা স্থলে কিন্তু প্রভাবশালীরা ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। মারধোরের পরও কোথাও কোন অভিযোগ না করার জন্য ছেলের পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন বলে অভিযোগ সজিবের পিতার।
জানানায়, কুষ্টিয়ার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর উত্তরপাড়ার নজরুলের ছেলে সজিব (২২) ( খাজানগর তার চাচার বাড়িতে থাকে) এর সাথে একই এলাকার শহিদুলের মেয়ে এস এস সি পরীক্ষার্থী স্বপ্না (১৬) এর দুই বছর ধরে মন দেয়া নেয়া চলছিল। এরই একপর্যায়ে গত ৬ মার্চ তারা পালিয়ে তারা মিরপুরের এক কাজীর কাছে গিয়ে বিয়ে করেন। এ খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন সজিবকে খুঁজতে থাকে । পরেরদিন গতকাল ৭ মার্চ কবুরহাট সদ্দারপাড়া মিঠুনের বাড়ি থেকে সজিব কে ধরে সেখানেই এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে মেয়ের চাচা রেজাউল ও ইয়াছিন। পরে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সবর্ণা এগ্রো ফুডের মালিক জিন্নার খাজানগর বাসার ৪ তলায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে আবারও মারধোর করতে থাকে। পরে সেখানে কবুরহাটের কাজী মনিরুজ্জামান কে ডেকে নিয়ে ছেলে মেয়েকে জোরপূর্বক তালাক নামায় সাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়।
মারধোরের খবর শুনে সজিবের বাবা নজরুল ছুটে যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম মোল্লার কাছে। কালাম মোল্লাও ছুটে যান সেখানে কিন্তু তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে উল্টো ধামকী দিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং জিন্নার লোকজন তাকে বলেন সেখানে কেউ নেই । এলোপাথাড়ি মারধোর করে সজিবের হাত ও পা ভেঙে তাকে ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত সবিজ জানান, তাকে জিন্নাহ, রেজাউল ও ইয়াছিল কাঠের রোল দিয়ে পিটিয়েছে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এর পর কি হয়েছে সে বলতে পারে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় ছেলের বাবা তার কাছে গেলে সব শুনে তিনি জিন্নাহ'র ওখানে যান। কিন্তু তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তিনি ভিতরে যেতে চাইলে জিন্নাহ'র লোকজন বলেন সেখানে কোন ছেলে মানুষ নেই। এ কথা শুনে ফিরে আসেন এবং পরে জানতে পারেন জিন্নাহ'র বাসায় মারধোর করা হয়েছে । অথচ তাকে মিথ্যা কথা বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা খুব দু:খজনক বলে জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমিও প্রথমে বুঝতে পারিনি। তবে ছেলেটাকে মারধোর করা ঠিক হয়নি এটা অমানবিক এবং তাদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক তালাক নামায় সাক্ষর করানোর বিষয়টি আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। যে কারনে আমি কোন টাকা পয়সা না নিয়ে চলে আসি।
মেয়ের বাবা শহিদুল বলেন, আমি কাউকে মারিনি মেরেছে আমার ভাইয়েরা। আপনার মেয়েকে কি ছেলেটা জোরপূর্বক নিয়ে গেছে নাকী স্বেচ্ছায় গেছে এমন প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
সুবর্ণা এগ্রো ফুডের মালিক জিন্নাহ মুঠা ফোনে বলেন, তাকে একটু চর থাপ্পড় মারা হয়েছে। হাত পা ভেংে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে যা কমপ্লেনেন লেখার তা লেখেন গা বলে ফোন কেটে দেন।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, এখনো থানায় এব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। থানায় এজাহার দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।