মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, এই টিকার কার্যকারিতা মূল্যায়নে তৃতীয় পর্যায়ে প্রভ‚ত পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
ভারত জুড়ে ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণের প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সময় থেকেই হায়দারাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের এই টিকার প্রয়োগ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। জানুয়ারিতে ওই টিকার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে টিকার পরীক্ষা পর্বের ফলাফলের কোনও রিপোর্ট ছাড়াই কী ভাবে তা ব্যবহারের ছাড়পত্র পেল, সে নিয়েও বিস্মিত অনেকে। যদিও দ্বিতীয় পর্বে টিকাকরণের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ মার্চ ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা নিয়ে জল্পনার কার্যত অবসান ঘটিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের অন্যতম পুরনো মেডিক্যাল জার্নালেরও দাবি, ‘এটি সুরক্ষিত এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম (ইমিউনোজেনিক)’।
ল্যানসেটের রিপোর্টটি প্রকাশ করে একে ‘সুসংবাদ’ আখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ফাহিম ইউনুস। যদিও ল্যানসেটের তরফে জানানো হয়েছে যে, দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হলেও টিকার তৃতীয় পর্বে এর কার্যকারিতা নিয়ে মূল্যায়ন জরুরি। নিজেদের রিপোর্টে ল্যানসেট লিখেছে, ‘টিকার সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিত হতে তৃতীয় পর্বেও প্রভূত ট্রায়ালের প্রয়োজন। সিরামের (টিকার) নমুনার তুলনায় এই টিকা নিয়ে কম তথ্য পাওয়ার ফলে তার কার্যকারিতা নিয়ে মূল্যায়ন করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, এই টিকা পরীক্ষার সময় অংশগ্রহণকারীদের বয়স এবং তারা কতটা উপসর্গহীন গুরুতর রোগে ভুগছেন, সে নিয়েও অতিরিক্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের তুলনামূলক মূল্যায়নও করা হয়নি। তা ছাড়া, পরীক্ষার সময় সাধারণ মাপকাঠিগুলি নির্ধারিত ছিল না। পরে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।’
যদিও প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে সরাসরি তুলনায় ‘কোভ্যাক্সিন’-এর দ্বিতীয় পর্বের ফলাফল সন্তোষজনক বলে দাবি করেছে ল্যানসেট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‹১২ থেকে ১৮ এবং ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সি কম সংখ্যক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘কোভ্যাক্সিন’-এর পরীক্ষার ফলাফল খতিয়ে দেখা হয়েছে। শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে এটি কতটা প্রতিরোধী, তার জন্য আরও একটি সমীক্ষার প্রয়োজন’। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।