Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আতাউর রহমান ও গাজী মাজহারুল আনোয়ার

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ১:১০ পিএম
ঘোষণা করা হয়েছে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের নাম। এবার ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান এ পদক পাচ্ছে। সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে নাট্যজন আতাউর রহমান ও সুরকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তারা এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
 
আতাউর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ৭৯ বছর বয়সী আতাউর রহমান মঞ্চের জন্য লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন, অভিনয়ও করেছেন। অভিনয়, অনুবাদ ও নির্দেশনা—আতাউর রহমান সবকিছুতেই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন, রাখছেন। বয়সে প্রবীণ হলেও তিনি চিরতরুণ। এ দেশের নাট্যজগতের অন্যতম কৃতী। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০০১ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। গত ৫০ বছরে তিন ডজনের মতো মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন, ২ হাজারটি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেন তিনি।
 
অন্যদিকে বাংলা গানের জগতে জীবন্ত কিংবদন্তি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি প্রায় ২০ হাজার গানের স্রষ্টা। বাংলা গানের সেরা গীতিকবিদের মধ্যে এই মানুষটি একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকও। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা অজস্র কালজয়ী গানের মধ্যে অন্যতম একটি গান— ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। যে গানটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রেরণাদায়ক গান হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। যে গানের গ্রহনযোগ্যতা চিরকালীন। এ গান আজো গাওয়া হয় এবং গাওয়া হবে চিরকাল। ‘বিবিসি বাংলা’র তৈরি করা করা শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় এই ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি ১৩তম স্থান লাভ করে।
 
পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্য ৭জন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ, মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী; সাহিত্যে মহাদেব সাহা; সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
 
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতা পদক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ