পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য এবং কারা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. জে.আর. খান রবিন এ নোটিশ দেন।
নোটিশে বলা হয়, দেশের ৬৮ কারাগারে ৪০ হাজার ৬৬৪ কারাবন্দির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ২/৩ গুণ বেশি বন্দি কারাগারে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে ১৪১ কারা ডাক্তারের পদের বিপরীতে ডাক্তার ছিল মাত্র ৯ জন। এতে করে কারাবন্দিদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনস্বার্থে একটি রিট করা হয়। এ পরিপেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিচারপতি এএফএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেন। রুলে কারাবন্দিদের বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- জানতে চাওয়া হয়।
কারা কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তারিখে হলফনামার মাধ্যমে দেশের সব কারাগারে ২৪ জন ডাক্তার থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করেন। অবশিষ্ট শূন্য ১১৭ পদে ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করেন।
এ ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট অনতিবিলম্বে শূন্য পদে ১১৭ জন ডাক্তার নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। গত ১৭ জানুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ হলফের মাধ্যমে আদালতকে জানায় যে, ১৪১ পদের বিপরীতে ১২২ জন ডাক্তার দেশের বিভিন্ন কারাগারে নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ১৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন নিয়োজিত আছেন। ১২২ জনের মধ্যে ৭ জন ডেপুটেশনে এবং ১০৫ জন পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত রয়েছেন। কিন্তু একই বিষয়ে গত ৪ মার্চ প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো কারাগারে ১৩৪ ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে।
সেহেতু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আদালতের আদেশ অনুসারে কারাগারে ডাক্তার নিয়োগ না দেয়ায় আদালত আদেশ অমান্য করেছেন। একইসঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ ডাক্তার নিয়োগের বিষয়ে সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় তাদের কাজও আদালত অবমানের সামিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।