Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হঠাৎ করে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিকরা রেগে গেলেন, সমঝোতায় বসবে রোববার

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১, ৭:২২ পিএম

দেশের একমাত্র বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি। কয়েক বছর পূর্বে কয়লা খনিতে সময়-অসময় শ্রমিক আন্দোলন, শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-ভাতা ও প্রভিট-বোনাস নিয়েই তো লেগেই ছিলো আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খনির শ্রমিকরা খনির প্রধান ফটকে বিভোক্ষ-মিছিলরত অবস্থায় অবস্থান করছিলো।

জানা গেছে, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভে প্রায় ১১শ ৪৫জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। কোডিভ-১৯ কালীন সময়ের পর থেকে প্রায় ৬মাস ধরে শ্রমিকরা খনিতে কয়লা উত্তোলনসহ ভূ-গর্ভের কাজে ৬শ জন শ্রমিক নিয়োজিত। শ্রমিকদের কে খনি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিককেই খনির গেটের বাহিরে যেতে দিতো না। খাওয়া-দাওয়া, রাত্রিযাপনসহ ২৪ ঘন্টাই তাদের খনিতে অবস্থান করতে হয়। শ্রমিকদের কোন আত্নীয়-স্বজন, পিতা-মাতা মারা গেলেও শ্রমিকদের তার নিজ বাড়িতে যেতে দিতো না।

সাম্প্রতিককালে খনির শ্রমিক আনোয়ার হোসেন, পিতা- মৃত বারী, পশ্চিম দুধীপুকুর গ্রামের তার মারা গেলে আনোয়ার হোসেনকে জানাযায় যেতে দেয়নি। এরই প্রতিফলন হিসেবে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্ত প্রধান গেটে অবস্থান করে, প্রধান গেট খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষের কাছে। রাতে খনি কর্তৃপক্ষ বেগতিক অবস্থা দেখে জেলা থেকে পুলিশের একটি দল খনির গেটে প্রবেশ করে। আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ প্রতিনিধির সাথে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাশিদ কায়সার রিয়াদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে নিয়ন্ত্রনে আনে। খনি কর্তৃপক্ষ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নেত্রীবৃন্দ সাথে বৈঠক করে সমাধান করা হবে বলে জানান। আজ শনিবার সারা বেলা পুলিশ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী টহলরত অবস্থায় খনি এলাকায় ছিলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দিনাজপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ