Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজের জন্য কথা বলতে প্রস্তুত মেগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১, ৪:৪৬ এএম

ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির ডাচেস অব সাসেস্ক মেগান মার্কল বলেছেন যে, এখন তিনি স্বাধীনভাবে নিজের জন্য কথা বলতে পারছেন এবং বিষয়টি তিনি উপভোগ করছেন। শুক্রবার জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারের নতুন ট্রেইলারে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মেগানকে এই কথা বলতে শোনা যায়।

সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান নিজেদের এবং বাকিংহাম প্যালেসে তাদের জীবন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী রোববার এবং যুক্তরাজ্যে সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার হওয়ার কথা। এতে হ্যারি-মেগানের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া এবং যুক্তরাজ্য ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রসঙ্গও থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সাক্ষাৎকারের ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার ছেড়েছে সিবিএস। সেখানে উইনফ্রেকে ডাচেস অব সাসেক্সের উদ্দেশ্যে বাকিংহাম প্যালেস বিষয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যাচ্ছে।

গত বছর জানুয়ারিতে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন হ্যারি-মেগান দম্পতি। সম্প্রতি এ দম্পতির সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসের কথার লড়াই শুরু হয়েছে। উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, ‘আমি কথা বলতে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ‍যিনি একটি সত্যিকারের স্বাধীন জীবনযাপন করতেন তিনি এমন একটি পরিবেশে গেলেন যেটা আমার মনে হয় মানুষ যা কল্পনা করে তার থেকে ভিন্ন। এ অবস্থায় হ্যাঁ বলার অধিকার পাওয়া সত্যি মুক্তির।’ বাকিংহাম প্যালেস ‘মিথ্যা জিইয়ে রাখছে’, অভিযোগ মেগানের।

প্রাইভেসি রক্ষার কথা বলে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পরে উইনফ্রে শো’র মত জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেয়াকে অনেকে ভণ্ডামি বলে সমালোচনা করছেন। উইনফ্রের সঙ্গে হ্যারি-মেগানের এ সাক্ষাৎকার রেকর্ড হওয়ার পর গত বুধবার টাইমসের এক প্রতিবেদনে ডাচেস অব সাসেক্সের বিরুদ্ধে রাজপরিবারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে কেনসিংটন প্যালেসের কয়েক কর্মীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করার এক অভিযোগ পাওয়ার দাবি করে। মেগান এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, তারা অভিযোগটি নিয়ে ‘গভীর উদ্বিগ্ন’। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছে তারা। এদিকে মেগান বলেছেন, তার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা জিইয়ে রেখে বাকিংহাম প্যালেস তাদের কাছ থেকে নীরবতা প্রত্যাশা করতে পারে না।

বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে হ্যারি-মেগান দম্পতির এমন এক সময়ে কথার লড়াই শুরু হয়েছে যখন হ্যারির দাদা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ (৯৯) ‍হাসপাতালে ভর্তি আছেন। রাজপরিবারের মুখপাত্র রিচার্ড ফিৎজউইলিয়ামস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘যাই ঘটছে তাতে পরিস্থিতি যে বিষাক্ত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। এ সব কিছুই অদূর ভবিষ্যতে রাজপরিবারের সঙ্গে ‍তাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে। এটা অত্যন্ত বিপদজনক।’

২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন অভিনেত্রী মেগানকে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। কিন্তু দুই বছরেরও কম সময়ে এ দম্পতি নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তার সুরক্ষার কথা বলে এবং প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে রাজপরিবারের দায়-দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও পরে মেগান বলেছেন, তার ছেলে আর্চি যখন তার গর্ভে ছিল তখন রাজপরিবারে নিজেকে তার ‘অরক্ষিত’ মনে হত। সূত্র: রয়টার্স, ইভনিং স্টান্ডার্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ