পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর ঢালাওভাবে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি মানতে নারাজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বেশিরভাগ মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর অবস্থাই ভালো। তাছাড়া, এগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
গতকাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গে অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, দেশে সাধারণত দুই ক্যাটাগরির মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। একধরনের কেন্দ্রে উচ্চবিত্ত সন্তানদের সেবা দেয়া হয়। সেগুলোর অবস্থা ভালো। আর কিছু মধ্যম ক্যাটাগরির আছে, যেখানে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের খুবই কম মূল্যে সেবা দেয়া হয়। সেসব কেন্দ্রগুলোতে চাইলেই উচ্চ বেতনের সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখা সম্ভব হয় না। তবে কয়েকটি কেন্দ্র মিলিয়ে একজন ডাক্তার থাকেন। যিনি নিয়মিত কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন, আমরা সেগুলো মনিটরিং করি।
তারা বলেন, একসময় উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র করা হয়েছে, কারণ কেউ এটি করতে চাইতো না। এখন এগুলোর মানোন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগে হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আহসানুল জব্বার বলেন, আদাবরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এর আগে পুলিশের একজন এএসপি নিহত হন, বিষয়টির তদন্ত চলমান। এছাড়া মালিবাগের হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিহত হওয়া ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গিয়েছিল, এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৯টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। যেসব মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্যায় পাওয়া যাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অস্ত্র ও মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, আমাদের একটি এজেন্ডা আছে। সেই এজেন্ডায় আমরা অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। সাধারণত যারা মাদক ব্যবসায়ী থাকেন তারা অনেক ভয়ঙ্কর হয়। এরা অনেক সময় আমাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আমরা এখন অনুধাবন করছি যে আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের তত্ত¡াবধায়নে একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটি এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছে কীভাবে কী উপায়ে আমাদের অস্ত্র দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আরও একটি বিষয় আমরা অনুধাবন করেছি যে, আমাদের অবশ্যই মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন। খুব সহজে এর সাহায্যে আমরা অপারেশন চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারবো।
মন্ত্রিসভা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কারণ তো একটা অবশ্যই রয়েছে। এখানে যারা রোহিঙ্গা রয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার প্রবণতা রয়েছে। সেজন্য এখানে আমাদের অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
অধিদফতরের কর্মরত মাদকাসক্তদের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। বিধিমালাটি তৈরি হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করা যাবে। তবে আমাদের একজন সদস্যকে ডোপ টেস্ট পজিটিভ পেয়েছিলাম, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকালও সন্দেহভাজন একজন পরিদর্শককে আমরা পরীক্ষা করেছি, কিন্তু পরীক্ষায় তার মাদকসেবনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।