বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক কেঁটে ফেলার সময় বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা ও অপর এক মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চাপইলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকির (৬০) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন ফকির (৭৫)। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাপাইল মুক্তিযোদ্ধা সড়কটি ওই ইউনিয়নের চাপাইল, ভাটিয়াপাড়াসহ অন্যান্য এলাকার মানুষ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার মানুষ চলাচল করে। গত ১০ বছর ধরে সরকারী অর্থায়নে মাটির কাজের মাধ্যমে সড়কটির উন্নয়ন করা হয়। এর আগে এখানে পায়ে হাঁটার পথ ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ভাটিয়াপাড়া গ্রামের টুকু মোল্লার ছেলে ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদরের মেজ ভাই আমেরিকা প্রবাসী বরকতউল্লাহ কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে সড়কটি দুই স্থানে কেঁটে দেয়। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকির তাদের বাধা দিলে ভাটিয়াপাড়া গ্রামের টুকু মোল্যার ৩ ছেলে হুমায়ূন কবীর, বরকতউল্লা ও জুয়েল মোল্লা তাকে মারপিট করে। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ ফকিরও আহত হন।
গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চাপাইলপাড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু সহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়। জিকরুল ইসলাম ফকির আরো বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদরের বাবা টুকু মোল্লা শান্তি বাহিনীর সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ তাদেও গাত্রদাহের সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে তারা আমাকেসহ আরেক মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা করে।
আওয়ামীলীগ নেতাকে মারপিটের অভিযোগের বিষয়ে জুয়েল মোল্লা বলেন, ওই সড়কের মধ্যে আমেরিকা প্রবাসী বরকতউল্লাহর জমি রয়েছে। তাকে না জানিয়ে ওই সড়কটির উন্নয়ন করা হয়। দুপুরে আমরা ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য যাই এবং রাস্তার কিছু অংশ কাটলে আওয়ামীলীগের ওই নেতা স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। একপর্যায় আমার ভাইয়ের উপর হামলা করলে আমি তাকে লাথি মারি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে খামখেয়ালীপনায় ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে রাস্তাঘাট সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক তৈরি করে আমাদেরকেও বেকায়দায় ফেলানো হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হলে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রাস্তা পুনর্নির্মাণে এলাকাবাসীকে আইনগত সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।