মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হল উইনস্টন চার্চিলের চিত্রকর্মটি। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৩ সালে ‘টাওয়ার অব দি কুতুবিয়া মস্ক’ ছবিটি আঁকেন এবং এটি ক্যাসাব্লাঙ্কা সম্মেলনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টকে উপহার দেন। মসজিদের টাওয়ার ছাড়াও মারাকাশ শহরের অপরুপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন চার্চিল। এ ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আঁকা এবং তখন চার্চিল ওই একটি ছবি আঁকেন বলে ধারণা করা হয়। -সিএনএন, ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস
প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ওই ছবিতে মারাকাশ শহরের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। মার্কিন অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্বপ্নেও ভাবেননি চিত্রকর্মটির দাম এতটা হবে। তার ধারণার চারগুণ বেশি দাম দিয়ে বেলজিয়ামের এক অচেনা ক্রেতা চিত্রকর্মটি সংগ্রহ করেন। লন্ডনে ক্রিস্টি’র ‘মডার্ন ব্রিটিশ আর্ট ইভিনিং সেল’ নিলামে তোলা হয় চিত্রকর্মটি। চিত্রকর্মটিতে মারাকাশ শহরে সূর্যাস্তের সময় দ্বাদশ শতাব্দিতে নির্মিতি কুতুবিয়া মসজিদের পেছনে আটলাস পর্বতমালার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। প্রায় অর্ধ শতাব্দীর চিত্রকর্মটির কোনো খোঁজ মেলেনি। এরপর হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিটের হস্তগত হয়। ব্রাড পিট চিত্রকর্মটি ২০১১ সালে ২.৯৫ মিলিয়ন ডলারে কেনেন এবং তার তখনকার স্ত্রী জোলিকে উপহার দেন। ২০১৬ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। চিত্রকর্মটি নিলামে উঠলে বড়জোর ৩ মিলিয়ন ডলার দাম আশা করেছিল চিত্রকর্ম বোদ্ধারা। কিন্তু এটি যে গত পহেলা মার্চ নিলাম রেকর্ড সৃষ্টি করবে তা তারা কখনো ভাবেননি।
চার্চিল ১৯৩৫ সালে মরক্কো সফরে যান। নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্রধান নিক অর্চার্ড বলেন মারাকাশ শহরে সূর্যাস্তের সময় চার্চিল বিমুগ্ধ ও মোহিত হয়ে চিত্রকর্মটি আঁকেন। এর আগে চার্চিলের আরেকটি চিত্রকর্ম ২০১৪ সালে ২.৭ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। তবে কুতুবিয়া মসজিদের ছবিটি চার্চিল ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে আঁকা একটি চিত্রকর্ম। কাসাব্লাঙ্কা শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঐতিহাসিক ওই সম্মেলনের আগের দিন চার্চিল ছবিটি আঁকেন। হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিট চিত্রকর্মটি এ্যান্টিকস ডিলার বিল রাউয়ের কাছ থেকে কেনেন। আর ১৯৬০ সালে।বিল রাউয়ের কাছে চিত্রকর্মটি বিক্রি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।