বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৫ম দফায় উখিয়া ও টেকনাফ থেকে আরও সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বা বুধবার তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে রোহিঙ্গা বহনকারী বাস। ইতোমধ্যে উখিয়া কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে অস্হায়ী তাবু তৈরী করে ক্যাম্প করা হয়েছে।
স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ট্রানজিট ক্যাম্প ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প নিয়ে আসা হচ্ছে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন শান্ত। স্ব -স্ব ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে নাম জমা দিচ্ছে। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে গেলেন ৯ হাজার ৫শ ৪০ জন রোহিঙ্গা।’
রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে। তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮ জন রোহিঙ্গাকে। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে গিয়েছে ১ হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গা ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন দুপুর ১২টায় ৩৯টি বাসে ২০১৪জন রোহিঙ্গা ও ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১৮টি বাসে ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে।
ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
এদিকে সরকার রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে নিয়ে কাজ করলেও সম্প্রতি মিয়ানমারে সেনা অভূত্থান এই প্রক্রিয়া যেন আবারো ঠেকিয়ে দিল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।