পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা হলফনামা আকারে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই মামলায় কারাবন্দি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। শুনানিকালে আদালতকে তিনি জানান তিনি (মুশতাক আহমেদ) মৃত্যুবরণ করেছেন। আদালত তখন বলেন, বিষয়টি আপনি হলফনামা আকারে আদালতকে জানান। তখন তার জামিন আবেদন অ্যাবেট (বাদ দেয়া) করা হবে।
জবাবে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, ৩ মার্চের মধ্যে আমি হলফনামা আকারে জমা দিতে পারব। পরে আদালতে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নেন। শুনানি শেষে এ বিষয়ে সরকারপক্ষীয় বক্তব্য শোনার জন্য আগামি ৩ মার্চ তারিখ ধার্য করেন। ওই দিনই কিশোরের জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাবন্দি অসুস্থ মুশতাক আহমেকে (৫৩) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক আহমেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর গ্রামে। তিনি মো. আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র।
ঘটনার দিন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই-সিকিউরিটি সেলের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুশতাক। তখন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়। গত ১৩ জানুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিটে জুলকারনাইন খান ওরফে সামিসহ অন্য ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ দেয়া হয়। অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান, জার্মান প্রবাসী বøগার আসিফ মহিউদ্দিন, নেত্র নিউজ’র সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন শায়ের খান ওরফে সামি, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সরকারপক্ষের ‘না-রাজী’ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি অধিকতর তদন্তে সিটিটিসিকে নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।