Inqilab Logo

রোববার ১৩ অক্টােবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এত উদ্বেগ কেন? সংসদে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:২৬ পিএম | আপডেট : ৭:০২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এত উদ্বেগ কেন। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ চিন্তা থেকে বিবেচনা করলে হবে না। সমগ্র রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অসামাজিক, বিভ্রান্তিকর ও জঙ্গিবাদী ভাবধারা প্রচার করা হয়। মানুষের চরিত্র হনন করা হয়। রাজনৈতিক কুৎসা রটনা করা হয়। এগুলো সমাজে অশুভ বার্তা দেয়। সমাজে ও পরিবারে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো দেখা, মানুষ ও সমাজকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। এতে কারও দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক নামকরা সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পরপরই এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের কণ্ঠ রোধ হয়নি। সে জন্যই তাঁরা মতামত দিতে পারছেন। না হলে মতামত দিতে পারতেন না। ২০০১-২০০৬ সালে সাংবাদিকদের ওপর কীভাবে নির্যাতন হয়েছে, তাঁরা হয়তো তা ভুলে গেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা সমাজে সংঘাত বাড়ানোর জন্য নয়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই দেখা যাচ্ছে। সংসদ নেতা বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে। তাঁরা চান এর সুফল জনগণ ভোগ করুক, কুফল থেকে দূরে থাকুক। সে লক্ষ্য নিয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়েছে। এখানে শুধু গোষ্ঠী স্বার্থ দেখলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করেছেন। যাঁরা গণতন্ত্র নড়বড়ে দেখেন, আসলে তাঁদেরই নড়বড়ে অবস্থা।
সংসদের এই অধিবেশনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা সরকারের মেয়াদ শেষের দিকের অধিবেশন। এরপর নতুন নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দিলে তাঁরা আবার সংসদে আসবেন। তখন কী করা হবে তার পরিকল্পনাও তাঁদের আছে।
শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ–সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ। ২১০০ সালে প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের আইনি বৈধতা দেওয়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অবহেলিত ছিল। তারা মেধাবী। নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিজেরা পড়াশোনা করে। তারা প্রথম দিকে স্বীকৃতি চায়নি। পরে চেয়েও পায়নি। এই স্বীকৃতিটা বর্তমান সরকার তাদের দিয়েছে, যাতে তারা একটা সনদ পায়। সুন্দরভাবে জীবনটা গড়তে পারে। নয় বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কাজেই যাঁরা বলেন, হঠাৎ করে এটা করা হয়েছে, তাঁদের কথা ঠিক নয়।
পত্রিকা দেখে দেশকে বোঝার দরকার নেই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। কিন্তু দেশে এমনও পত্রিকা আছে, যা খুললে মনে হয় দেশে কিছুই হয়নি। তারা সরকারের ভালো কিছুই দেখে না। এমনভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে যে এ সরকার খুবই খারাপ কাজ করছে। তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে, আমি দেশের জন্য কাজ করছি। আর দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। তাই পত্রিকা দেখে আমার দেশকে বোঝার দরকার নেই।
###



 

Show all comments
  • অর্ণব ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৮ পিএম says : 0
    ডিজিটাল ঐ আইন গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার গলায় ফাস। বাতিল হোক ব্রিটিশদের 95 বছরের পুরানো কালো আইনের এই নতুন ভার্সন।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ