পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দীর্ঘ মেয়াদে আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার’ দিবস উপলক্ষে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর এ আলম, প্রশাসনিক পরিচালক আবদুল আহাদ এবং বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর পুলিশের ওপর একক ক্ষমতা দেয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ আইন অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, গণমাধ্যমকর্মী এবং যারা সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর গবেষণা করে, তাদের জন্যও বড় প্রতিবন্ধকতা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। সাময়িক বিবেচনায় হয়ত এটি সন্তোষজনক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি আত্মঘাতী হতে বাধ্য। তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন ৩২ ধারা নামে একটি ধারা রয়েছে যেখানে ঔপনিবেশিক সময়ের দুটো অফিসিয়াল নিরাপত্তা আইন পুনরায় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটিকে আমরা খুবই পশ্চাৎমুখী বলে মনে করি। যারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে চান, তাদের জন্য বড় ধরণের হুমকির সৃষ্টি হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। যেটিকে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বলা যায়।
এ সময় তিনি আইনটির সংশোধন চেয়ে বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে ইতোমধ্যে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি বিভিন্ন মাধ্যমে। আশা করবো, তিনি আইনটি অনুমোদন না দিয়ে সংসদে আবার ফেরত পাঠাবেন যাতে করে এটি পুনরায় বিবেচিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, তাদের মাধ্যমে আইনটি পুনরায় সংশোধন করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এ ধরনের আইন মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।