বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২নং আসামী জোবায়েরকে সাভার ট্যানারি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনো পলাতক রয়েছে তিন নং আসামী শামছুল আলম রাসেল।
রোববার বিকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সাভার থেকে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করার পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক সুরাইয়া সুলতানা ও সেতারা বেগম ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা করেন। রোববার বিকালে নির্যাতিতাকে আদালতে হাজির করলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সোনিয়া আক্তার ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরআগে মামলার ৬নং সাক্ষী মোজ্জামেলকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ১৩মার্চ রাতে মামলার আসামী ফয়সাল ও জোবায়ের ঘরে ডুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওইছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে। ঘরে থেকে যাওয়ার সময় তারা আমার আলমেরি থেকে নগদ ৫০হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন ও দুইটি আংটি নিয়ে যায়। গত ২০২০সালের ৫মার্চ রাত আড়াইটার দিকে ইমন ও রাসেল ঘরে ডুকে নির্যাতিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার তিন মাস পর রাসেলকে ৫০হাজার টাকা দিয়ে ঢাকার মিরপুর-২, ৭নং রোডের ৩নং গলির জান্নাত নামের এক নারীর কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে আসেন তার মা। ওই তিন মাসে অপহৃতাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাসেল। এরপর বিভিন্ন সময় ইমন বাড়ীতে এসে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওইছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সবশেষ গত বছরের ২৪ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আবারও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের পূরগাও থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে বেগমগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম ইমন ও পরে জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ইমন ৫দিনের রিমান্ডে রয়েছে আর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ফয়সাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।