পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া আগামী ৩০ মার্চ থেকে খুলে দেওয়া হবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ৬০ কর্মদিবস পরে এসএসসি-দাখিল ও ৮০ কর্মদিবস পরে এইচএসসি-আলিম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে সপ্তাহে ৬ দিন। রমজানেও চলবে ক্লাস, শুধু ঈদের সময় কয়েকদিন ছুটি থাকবে। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ মার্চ থেকে খুলে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস হবে। প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে আসবে, মাধ্যমিকের দশম ও উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। বাকী শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, পরবর্তীতে দুইদিন করে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাবো।
প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজটি বাকী রয়েছে। আমরা আশা করছি, ৩০ মার্চের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। কোথাও যদি কোন মেরামত বা সংস্কার প্রয়োজন হলে সেটি করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তৃণমূল পর্যায়ে মনিটরিং করবেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা। তবে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস এখন হবে না। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এসএসসি’র জন্য ৬০ কর্মদিবসের এবং এইচএসসি’র জন্য ৮০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণোয়ন করা হয়েছে। এই কর্মদিবস ক্লাস করার জন্য সপ্তাহে ৬দিন আসতে হবে। বাকীরা একদিন করে আসবে, পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি করা হবে। রোজার সময় ছুটি থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমনিতেই এক বছর ধরে বাসায় আছে। রোজার সময় তাদের ছুটির প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ তারা দীর্ঘ একবছর তো ছুটি কাটালোই। তাই শুধু ঈদের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে আর ১৭ মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। তার আগে ১ লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা প্রদান করা হবে। এজন্য ইতোমধ্যে ইউজিসির মাধ্যমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের আইডি নাম্বার দিয়ে যেনো রেজিস্ট্রেশন করতে পারে এবং তারা যেখানে অবস্থান করছেন সেখান থেকেই যেনো টিকা নিতে পারে সেটি সুযোগ থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।