Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিশ্বের সেরা বস্!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারিতে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিশ্বের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান। অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের বেতন বন্ধ করে বা কমিয়ে দিয়েছে। তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রমী উদাহারণ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কর্মীদের বেতন বাড়াতে নিজের বেতনই প্রায় ৮ কোটি টাকা কমিয়ে ফেলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও।
সংস্থাটির নাম গ্রাভিটি পেমেন্টস। আর কর্মীবান্ধব এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরা বিশ্বের নজরে এসেছেন সংস্থার সিইও ড্যান প্রাইস। মাত্র ১৯ বছর বয়সে গ্রাভিটি পেমেন্টস সংস্থা চালু করেন তিনি। তখন তিনি কলেজে পড়েন। কলেজের একটি ঘর থেকেই শুরু হয়েছিল গ্রাভিটি পেমেন্টস-এর যাত্রা। এটি একটি ক্রেডিট কার্ড প্রসেসিং সংস্থা। ২০০৪ সালে ড্যান প্রাইস এবং তার ভাই লুকাস সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট কার্ড সংস্থায় পরিণত হয় এটি। সংস্থাটির গ্রাহকের সংখ্যা এখন ১৫ হাজারেরও বেশি। ড্যানের এখন বয়স ৩৬ বছর। ৩১ বছরেই ড্যান কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন। তার মতে, যে সমস্ত ধনকুবের নিজেদের আয়ের সামান্য অংশ দান করেন বা হয়তো নিজের নামে কোনও হাসপাতাল বানান, বেশির ভাগই কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে এমন করে থাকেন। তিনি যে সে পথ অনুসরণ করতে রাজি নন তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের বালার্ডে রয়েছে গ্রাভিটি পেমেন্টস এর সদর দফতর। প্রায় দুইশ’ কর্মী কাজ করেন সংস্থাটিতে। ২০১৫ সালে ছোট্ট এই সংস্থাটি সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যখন এর সিইও ড্যান তার সংস্থার প্রত্যেক কর্মীর বেতন অন্তত ৭০ হাজার ডলার করে দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালে প্রত্যেক কর্মীর বেতন ১০ হাজার ডলার বাড়িয়ে দেন তিনি। প্রতি বছরই এ ভাবে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মীদের।
২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিটি কর্মীর মাইনে বছরে অন্তত ৭০ হাজার ডলার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ড্যান। যা করতে গিয়ে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও ড্যান প্রাইস নিজের বেতন কমিয়ে দিয়েছেন অনেকটাই! সংস্থা থেকে প্রতি বছরে কর্মচারীদের সমান বেতন নিচ্ছেন তিনিও! ২০২০ সালে মহামারির প্রভাব পড়ার আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে ৪০ লাখ ডলার আয় করেছিল সংস্থাটি।
ড্যান আগে বছরে সংস্থা থেকে ১০ লাখ ডলার বেতন নিতেন। এখন তিনি বছরে মাত্র ৭০ হাজার ডলার বেতন নেন। অর্থাৎ ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কঠিন সময়ে এবং মূল্যবৃদ্ধির আবহে যাতে কোনও কর্মচারীকেই সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর জন্য ড্যান নিজের বার্ষিক বেতনও কমিয়ে এনেছেন অনেকটাই। সূত্র : ডেইলি মেইল।



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:২৫ এএম says : 0
    Only in USA!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ