ইউটিউবে আসতে চলেছে নতুন ফিচার। এর সাহায্যে এবার থেকে মা-বাবারা ঠিক করতে পারবেন যে তাঁদের সন্তান ইউটিউবে কী কী দেখবেন। অর্থাৎ সন্তান ইউটিউব সার্চ করে কী দেখছে, সেটা আদৌ তার জন্য ভাল নাকি খারাপ, সেদিকে নজর দিতে পারবেন মা-বাবারা। মূল ইউটিউব অ্যাপে এই ফিচার যুক্ত হবে। বাচ্চাদের জন্য ইউটিউবের যে ‘কিডস ভার্সান’ রয়েছে সেখানে এই ফিচার পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক ভাবে ‘বিটা টেস্টার’-দের ক্ষেত্রে এই ফিচারের সেবা চালু করা হবে। কয়েক মাস পর থেকে বেশি সংখ্যক ইউজারদের জন্য এই সেবা চালু হবে।
একটি ব্লকে ইউটিউবের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফিচারের মাধ্যমে বাচ্চারা গুগল অ্যাকাউন্টের একটি সুপারভাইজড ভার্সানের মাধ্যমে ইউটিউব দেখতে পারবে। এই সুপারভাইজড ভার্সানে কনটেন্ট সেটিংস বিশেষভাবে ঠিক করা হবে। পাশাপাশি সীমিত সংখ্যক ফিচার দেওয়া হবে। প্রাথমিক টেস্টিংয়ের পর যে ফিডব্যাক আসবে, তার উপর ভিত্তি করেই ভুলত্রুটি সংশোধন করে ইউটিউবের এই বিশেষ ফিচার আপডেট করতে হবে।
ইউটিউব কিডস ক্যাটেগরির তুলনায় যাদের বয়স বেশি তাদের জন্যই এই বিশেষ ফিচার আনা হয়েছে। যেসমস্ত ভিডিও এখানে দেখা যাবে সেগুলো ৯ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য উপযুক্ত। ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগ, টিউটোরিয়ালস, গেমিং ভিডিয়ো, মিউজিক ক্লিপ, খবর, শিক্ষনীয় কনটেন্ট ও আরও অনেক কিছুই দেখা যাবে এই ফিচারের সাহায্যে। এক্সপ্লোর, এক্সপ্লোর মোর এবং মোস্ট অফ ইউটিউব এই তিনটি অপশনও থাকবে। যাদের বয়স ১৩ বছরের বেশি, তাদের জন্য এই তিনটে অপশন কার্যকর হবে। তৃতীয় অপশনের ক্ষেত্রে ইউটিউবের প্রায় সব ভিডিও দেখা যাবে। একমাত্র যেসব ভিডিও বয়সের ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলো দেখা যাবে না। অর্থাৎ সেনসিটিভ ইস্যু ভিত্তিক কনটেন্ট দেখা যাবে না।
মূলত ইউটিউবের খুদে দর্শকদের নিরাপত্তার খাতিরেই এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক সময়েই না বুঝে বাচ্চারা অনেক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ফেলে। কিংবা এমন কোনও ভিডিও দেখা ফেলে যা তাদের শিশুমনে প্রভাব ফেলতে পারে। এইসব থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখতেই মা-বাবাদের জন্য এই নতুন ফিচার আনতে চলেছে ইউটিউব।