Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩১ ছক্কার ম্যাচে ৪ রানে জিতল নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

পারলেন না মার্কাস স্টয়নিস। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার পারলেন না চেষ্টা করেও দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে। গতকাল ডানেডিনে ছক্কাবৃষ্টির জমজমাট এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্টয়নিসের অস্ট্রেলিয়া ৪ রানে হেরেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডের মালিক এই ম্যাচেই হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল।
টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড করেছিল ৭ উইকেটে ২১৯ রান। রান তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভারেই ১১৩ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট হাতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন ৭ ওভারে ১০৭ রান করার সমীকরণ। আরেক অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল স্যামসকে নিয়ে সমীকরণটা প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিলেন স্টয়নিস। সপ্তম উইকেটে ৩৭ বলেই রেকর্ড ৯২ রান যোগ করে ফেলেন দুজন। ৬ বলে ১৫ রানের সমীকরণ নিয়ে শুরু করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে স্যামসের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ২ চার ও ৬ ছক্কায় ১৫ বলেই ৪১ রান করেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্রই চতুর্থ ম্যাচ খেলা স্যামস।
ওভারটা করছিলেন জিমি নিশাম। নিউজিল্যান্ডের পেসারের পরের দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি শেষ ওভারটা শুরুর আগে ৩৩ বলে ৭২ রান করা স্টয়নিস। সমীকরণটা যখন ৩ বলে ১৫ রানের, সেই সময়ে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে দেন স্টয়নিস। ২ বলে ৯ রান। কিন্তু পারলেন না স্টয়নিস, পঞ্চম বলটাকেও লং অন দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। তবে বলটা একটু বেশি ওপরে উঠে গিয়ে লং অনে টিম সাউদির হাতে ক্যাচই হতে পারল। ম্যাচের ফল নিয়ে সব সংশয়ও শেষ তখনই। যাওয়ার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৮ রান করেছেন স্টয়নিস। শেষ বলটায় ঝাই রিচার্ডসন চার মেরে এরপর শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন।
দলকে জেতাতে না পারলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম উইকেটে নতুন রেকর্ড গড়েছেন স্টয়নিস ও স্যামস। দুজনের ৯২ রান পেছনে ফেলেছে ইংল্যান্ডের পল কলিংউড ও মাইকেল ইয়ার্ডি জুটিকে। ২০০৭ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯১ রান এসেছিল কলিংউড-ইয়ার্ডি জুটিতে।
রান তাড়ায় শুরুটাও খারাপ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ৮ ওভারে ৭০ রান তুলে ফেলেছিল দলটি। কিন্তু ক্রমেই বেড়ে যাওয়া আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ভেঙে পড়ে দলটির মিডলঅর্ডার। ৭০ থেকে ১১৩- এই ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারায় দলটি।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ওপেনার মার্টিন গাপটিলের। ৫০ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৭ রান করেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। আট ছক্কায় আজ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিকও হয়ে গেছেন গাপটিল (১৩২ ছক্কা)। ভারতের রোহিত শর্মাকে (১২৭) পেছনে ফেলেছেন কিউই ওপেনার। গাপটিল ছাড়া নিউজিল্যান্ড ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। ৩৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তবে নিউজিল্যান্ডকে ২১৯ রান এনে দিতে শেষ দিকে জিমি নিশামের বড় অবদান। ১৬ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকা এই অলরাউন্ডার ৬টি ছক্কা মেরেছেন।
ম্যাচে দুদল মিলে মেরেছে ৩১টি ছক্কা। আর একটি ছক্কা হলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলত ম্যাচটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দুবার এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩২ ছক্কা দেখেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ