Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোন ভ্যাকসিন বেশি ভালো?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার জন্য অন্যতম অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে ভ্যাকসিনগুলোকে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনেসন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভ্যাকসিন আবিস্কার করলেও পশ্চিমা বিশ্ব মূলত তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনের উপরেই বেশি ভরসা রাখছে। সেগুলো হচ্ছে, মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন।

মূলত, তিনটি ভ্যাকসিনই করোনার বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষা দেয়, তাই যে কোন একটি গ্রহণ করাই যথেষ্ট। এগুলোর সবকটিই বাহুর উপরের অংশের পেশীতে শট হিসাবে দেয়া হয় এবং দুটি করে ডোজ নিতে বলা হয়। তবে সবার জন্য নিজের পছন্দমত ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ না থাকলেও প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কোন ভ্যাকসিনটি বেশি ভালো? এর জন্য তিনটি ভ্যাকসিনের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো-

নাম: অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে যথাক্রমে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বিএনটি ১৬২ বি ২ ও এমআরএনএ-১২৭৩।

কিভাবে এটা কাজ করে: অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ভাইরাস শরীরকে জানায় কীভাবে ভাইরাসটির এমন একটি অংশ তৈরি করতে হবে যা করোনা প্রতিরোধ করতে পারবে। ফাইজার ও মডার্নার ক্ষেত্রে জেনেটিক কোড প্রতিরোধ ব্যবস্থাটিকে শেখায় যে কীভাবে ভাইরাসের অংশ তৈরি করতে পারে যা করোনা প্রতিরোধে প্রতিক্রিয়া শুরু করে।

ডোজ: অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২ ডোজ (৪-১২ সপ্তাহের ব্যবধানে), ফাইজার ২ ডোজ (২১ দিনের ব্যবধানে), মডার্নার ২ ডোজ (২৮ দিনের ব্যবধানে)।

বয়স সীমা: অ্যাস্ট্রাজেনেকা ১৮ বছরের উর্দ্ধে, কিছু দেশে ৬৫ বছরের নিচে, ফাইজার ও মডার্নার যথাক্রমে ১৬ ও ১৮ বছরের উর্দ্ধে।

কারা নেবেন না: অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে উপাদানগুলোতে হাইপারস্পেনসিটিভ, প্রচন্ড জ্বর থাকলে নেয়া যাবে না। ফাইজার ও মডার্নার ক্ষেত্রে উপাদানগুলোতে অ্যানাফিল্যাক্সিস, পিইজি বা পলিসরবেট থাকলে ও প্রথম ডোজের পর অ্যালার্জি দেখা দিলে।

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে ইনজেকশন নেয়ার জায়গায় ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি বোধ, পেশীতে ব্যথা, জ্বর, শীত লাগা, জয়েন্টে ব্যথা ও বমিভাব হতে পারে। ফাইজার ও মডার্নার ক্ষেত্রে ইনজেকশন নেয়ার জায়গায় ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব হতে পারে। এছাড়া, শীতলাগা, মাথাব্যথা ও ক্লান্তি অনুভ‚ত হতে পারে।

পরীক্ষায় কার্যকারিতা: অ্যাস্ট্রাজেনেকা অন্তত ৬০ শতাংশ, ফাইজার ৯৫ শতাংশ ও মডার্না ৯৪ শতাংশ।
দাম (দেশভেদে আলাদা হতে পারে): অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৪ ডলার বা ৩৪০ টাকা, ফাইজার ২০ ডলার বা ১ হাজার ৬৯৬ টাকা ও মডার্না ১৫ থেকে ২৫ ডলার বা ১ হাজার ২৭২ থেকে ২ হাজার ১২০ টাকা।

সুরক্ষা শুরু: অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৫ দিন পর ও কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেয়ার ২২ দিন পর থেকে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৭ দিন পর ও কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেয়ার ১২ দিন পর থেকে এবং মডার্নার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৪ দিন পর ও কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেয়ার ১৪ দিন পর থেকে।

সংরক্ষণ: অ্যাস্ট্রাজেনেকা সাধারণ ফ্রিজে ৬ মাস ভালো থাকে। ফাইজার প্রচন্ড ঠান্ডা বিশিষ্ট ফ্রিজারে ৬ মাস, সাধারণ ফ্রিজে ৫ দিন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ২ ঘন্টা ভালো থাকে। মডার্না ফ্রিজারে ৭ মাস, সাধারণ ফ্রিজে ৩০ দিন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১২ ঘন্টা ভালো থাকে।

তবে, তিনটি ভ্যাকসিনের কোনটির ক্ষেত্রেই জানা যায়নি যে এগুলো কতদিন শরীরে কার্যকর থাকে ও সংক্রমণ ছড়ানো থেকে বিরত রাখে কি না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।



 

Show all comments
  • tariqul ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৪৮ পিএম says : 0
    Why Sputnic V is not mentioned ? Russian vaccine is the best in the world . Pls inform complete in formations . Bangladesh should purchase vaccine from Russia .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ