পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিকই। করোনার সময় বাড়ি থেকে ডেকে এনে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু তারপরও কোন প্রকার নোটিশ ও বকেয়াও বেতন ভাতা পরিশোধ ছাড়াই ১৪ শিক্ষক-শিক্ষিককে ছাটাই করা হয়েছে। এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সর্বত্র বিতর্কের ঝড় বইছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকটাই হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন ওই শিক্ষকরা। করোনার মধ্যে সরকার যেখানে শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন ভাতা পরিশোধ করে যাচ্ছে এমন অবস্থায় তাদের ছাটাই ঘটনা অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষকদের লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন নাসরিন আক্তার, সজিব মিয়া, আকবর হোসেন, মো. এনামুল হক, জিল্লুর রহমান, রবিউল আউয়াল এমরান হোসেন, দুলাল চন্দ্রসাহা, আতিকুল ইসলাম, লক্ষী রাণী ভট্টাচার্য্য, রিনা রাণী ভট্টাচার্য্য, খলিলুর রহমান, সামিনা আক্তার ও উম্মে হানি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুনির্দিষ্ট কোন কারন ছাড়াই স্কুল কর্তৃপক্ষ আবারো খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্থানীয় দুটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিল্লাল মিয়া চৌধুরীর কাছে গেলে তারা জানতে পারেন যে সকল খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষকদের চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে বিনা নোটিশে গোপনে চাকরি থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে কথা বলতে বলেন। পরে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সভাপতি সফিকুর রহমানের কাছে বাদ দেয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি ওই শিক্ষকদের চাকরি করতে চাইলে আবারো আবেদন করতে বলেন। পরে শিক্ষকরা বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি ওই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল মিয়া চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের ফান্ড কম থাকার কারণে কমিটির সিদ্ধাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কমিটি বেতন দিতে পারে না, স্কুলের ফান্ড শূন্য। তবে নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেই শিক্ষকরা চাকরিতে ছিলেন তারা চাইলে আবেদন করতে পারেন। প্রয়োজনে তাদের মধ্য থেকেই কমিয়ে শিক্ষক নেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সফিকুর রহমানের সাথে যোগযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ জানান। সামনে এসে কথা বললে সুবিধা হবে। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, এসিল্যান্ডকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টির তদন্ত করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।