মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানে মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০২০ সালের অক্টোবরের কথাই ধরা যাক— ওই মাসে জাপানে করোনায় প্রাণহানি ২ হাজার ৮৭, অন্যদিকে আত্মহত্যার ঘটনা ২ হাজার ১১৯ এবং এই আত্মহত্যাকারীদের ৮৭৯ জনই নারী। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় এই হার ৭০ শতাংশ বেশি।
এর আগে ২০০৮ সালে ব্যাংক ব্যবস্থার সংকট এবং ১৯৯০ সালে শেয়ার বাজারে ধস নামার পর আত্মহত্যা বেড়ে গিয়েছিল জাপানে। তবে সে সময় আত্মহত্যাকারী অধিকাংশই ছিলেন মধ্যবয়সী পুরুষ।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে আত্মহত্যা প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে জাপানে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলোও প্রতিদিন করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বিষয়ক সংবাদ পরিবেশন করে, তবে এর পাশাপাশি প্রতিদিন দেশে কতসংখ্যক আত্মহত্যা হলো- সেই তথ্যও জানাতে হয় তাদের।
কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছেন নারীরা- এ প্রশ্নের জাপানের মনোচিকিৎসক জুন তেশিবানা বিবিসিকে বলেন- মানসিক অবসাদ বা বিষাদগ্রস্ততা, যৌন নিগ্রহ, লকডাউনের কারনে চাকরিচ্যুতি ও হতাশা জাপানের নারীদের আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অবসাদ বা বিষাদগ্রস্ত নারীদের মানসিক সহায়তা দিতে ‘বন্ধন’ নামে একটি প্রকল্পের পরিচালক ৪১ বছর বয়স্ক তেশিবানা বলেন, ‘জাপানে যখন কোনো নারী সত্যিকার অর্থেই কোনো বিপদ বা যন্ত্রণার মধ্যে থাকেন তখন কী করবেন- এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। এই দ্বিধাদ্বন্দ্বই অনেক সময় আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয় তাদের।’
বিবিসিকে তেশিবানা জানান, করোনা লকডাউন শুরুর পর থেকে জাপানের পারিবারিক যৌন ও মানসিক নির্যাতন মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জাপানে বরাবরই আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক দশক ধরে এই হার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশটিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কয়েক বছর ধরে সেগুলোর ইতিবাচক ফলাফলও লক্ষ্য করা যাচ্ছিল; কিন্তু সাম্প্রতিক মহামারি দেশটিতে আত্মহত্যার যে চিত্র তুলে ধরেছে- তাতে বিগত সব হিসেবে ওলট-পালট হয়ে গেছে। বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।