Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বপ্নের ‘রিভার সিটি’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরিদর্শনে মেয়র লিটন ও মার্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৫৪ পিএম

রাজশাহী মহানগরী সংলগ্ন পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে স্বপ্নের ‘রিভার সিটি’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ও কারিগরী সমীক্ষার জন্য প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মার্স ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী ও তাঁর প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার দুপুরে টি-বাঁধ থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত স্প্রীড বোড যোগে পরিদর্শন করেন তারা।

পরিদর্শনের পূর্বে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী শহরের টি বাঁধ হতে শ্যামপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা নদীতে চর জেগে আছে। এটি চওড়া এভারেজ ৫০০ মিটার। প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে চরটি জেগে আছে, ভেঙ্গে যায়নি। পদ্মাচর উন্নয়ন করে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার কথা হয়েছে। প্রথমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং করতে হবে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। নৌ-রুট চালু হলে পাশ^বর্তী দেশ ভারত থেকে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানী-রপ্তানি করা সম্ভব। এটি চালু হলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে, উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বিশাল আয়তনের ল্যান্ড রিক্লেইম করে রিভার সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। রিভার সিটিতে বিনোদন কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, ইকোনমিক জোন গড়ে তুলতে চাই।

পরিদর্শন শেষে মার্স ইন্টারন্যাশনালের চীফ এ্যাডভাইজার এস.এম ফরমানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মায় জেগে ওঠা চরে রিভার সিটি প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সেটার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এসেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছি। রিভার সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে রাজশাহী। বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পরিদর্শনকালে ইন্টারন্যাশনালের মার্স গ্রুপের দলে ছিলেন এনভায়রমেন্টাল কনসালটেন্ট শাকিল আহমেদ, ফিনালসিয়াল এনালাইস্ট নোমান আল হাসান, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এমএম হক রাজিব প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিদর্শন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ