বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চতুর্থ ধাপের শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোন অপ্রিতকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। পরে শুরু হয় গণনা। শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে ২৯হাজার ৬শ ৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন ৮হাজার ৭শ ৯৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৭হাজার ২শ ৫৫ ও চামচ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩হাজার ৫শ ২০ ভোট। তবে ইভিএম মেশিন যান্ত্রিক যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের ফলাফল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬শ ১৮। শেরপুর পৌরসভায় ইভিএম’র মাধ্যমে ও শ্রীবরদী পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে ৬হাজার ৬শ ৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ লাল মিয়া। তার প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন ৩হাজার ৯শ ৪২ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ৮শ ৪৩ ভোট।
নির্বাচনী মাঠে শেরপুর পৌরসভায় ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের জন্য তিন টিম র্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৯টি ভোট কেন্দ্রে ২৪জন র্যাব, দুই প্লাটুন বিজিবি, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর পৌরসভায় ৭জন মেয়র, ৪৯জন কাউন্সিলর ও ১৮জন সংরক্ষিত আসনে এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৪জন মেয়র, ৩২জন কাউন্সিলর ও ১৬জন প্রার্থী সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার ৭৫হাজার ৭শ ৩৮ জন এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় মোট ২০হাজার ৯শ ৯জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।