পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঐতিহ্যগতভাবে ভারতের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান হলেও দেশটি বর্তমানে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর পরাক্রমশীলতা এবং দ্রæত আধুনিকায়নের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। চীন এবং ভারতের মধ্যে বড় ধরনের সম্মুখ লড়াই হয়েছিল একবারই ১৯৬২ সালে। সেই যুদ্ধের পর বিগত দশকগুলোতে এশিয়ার এ দু’টি দেশ বিপুল সমরাস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলেছে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে স্থল ও নৌসীমা এবং আঞ্চলিক আধিপত্য নিয়ে বৈরিতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
গত বছর লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে দু’পক্ষেই বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা হঠাৎ করেই আরও বহুগুণ বেড়ে যায়। লাদাখ অঞ্চলের সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পিছু হটার পর থেকে দেশটি তার ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে চীনা সামমরিক বাহিনীর তুলনায় ব্যপকভাবে পিছিয়ে থাকা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অপ্রতুলতা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। চীনের পরাক্রশীলতার মোকাবেলা করতে ভারত স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তার প্রতিরক্ষা শক্তিকে জোরদার করার লক্ষ্যে বিশেষ কার্যক্রম চালু করেছে।
বিগত কয়েক দশকে স্বল্প বিনিয়োগের কারণে ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনীর সক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে ইতোমধ্যে ভারতের জন্য ৩৬টি ফরাসি মাল্টি-রোল রাফালে যুদ্ধ বিমান তৈরির কাজ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৫টি গত বছরের জুলাইয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। ভারত নিজস্ব লাইসেন্সের অধীনে ১২টি সুখোই এমকেআই-৩০ তৈরি করার এবং রাশিয়া থেকে সর্বোচ্চ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সজ্জিত ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান কেনার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগারে ঐতিহ্যগতভাবে ৩ হাজার ৫শ’র বেশি ট্যাঙ্ক রয়েছে। পাশাপাশি, অদূর ভবিষ্যতে মূল যুদ্ধ ট্যাঙ্ক অত্যাধুনিক টি-১৪ আর্মাতা কেনার জন্য রাশিয়া সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
ভারত ও রাশিয়া সম্প্রতি বিশেষ বাহিনী এবং দূরপাল্লার নির্ভুলভাবে আঘাত হানার অস্ত্রগুলোর ওপর জোর দেয়ার পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনী এবং যৌথ অভিযানগুলোতে সাইবার এবং মহাকাশ সম্পদ ব্যবহার করার জন্য পরস্পরের প্রতি গভীর সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে। ভারতের ২১টি উপগ্রহ রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে অন্তত অর্ধেক ছবি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত রয়েছে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে কী ঘটছে তার একটি স্পষ্ট চিত্র পেতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে, বিশেষত দুর্গম এবং পাহাড়ী অঞ্চলে।
চীনের সাথে সম্পর্কে বৈরিতার কারণে সর্বোচ্চ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত তীব্রভাবে তার কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করেছে। তবে, হিমালয়ের বর্বরতম শীতল, পাহাড়ি অঞ্চল যেখানে ট্যাঙ্কের বহর স্বাধীনভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না, সেখানে চীনের সাথে বিরোধটি খুব আলাদা বিষয় হবে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার উপযোগী নির্ভুল অস্ত্র, পরিবহনযোগ্য কামান এবং অতি উচ্চতায় খারাপ আবহাওয়ার উপযোগী সেনা ও বিমান বাহিনীর সাথে এ যুদ্ধ করা হবে। (চলবে) সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।