পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ স্লোগানে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী গণসমাবেশ। গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচিটি শুরু হয়। ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, প্রীতিলতা ব্রিগ্রেডসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শুরুতে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে নৃত্য ও ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পরিবেশন করা হয়। এর আগে বিকেল ৩টা থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন অংশগ্রহণকারীরা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্সর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম এ আকাশ, সামিনা লুৎফা, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় প্রমূখ।
প্রফেসর আনু মোহাম্মদ বলেন, ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের যে পরিসংখ্যান আমরা দেখতে পাই তার চেয়ে দ্বিগুন ঘটনা দেশে ঘটছে। তাই ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক। এই আন্দোলনকে অন্যান্য আন্দোলনের সাথে মিলিয়ে ফেললে হবে না। সকল রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সংগঠিত করে সারাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন হ্রাস করতে হলে সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সর্বোপরি নারীদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে।
নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, আল জাজিরার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে যেভাবে সরকার আন্দোলন করছে, সেভাবে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলছে না, আন্দোলন করছে না। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার কথা বলবে না, যা করতে হবে আমাদেরই করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্স বলেন, দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী এই গণজাগরনের মধ্যেই ধর্ষণের মাত্রা, তীব্রতা ও ভয়াবহতা অন্য যেকোন সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই নানা বীভৎস খবর পত্রিকার পাতা জুড়ে আসতেেেছ। আইনের রক্ষক থেকে শুরু করে ক্ষমতার সাথে যুক্ত ছাত্র-যুব-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীরাই এসকল ঘটনায় বেশিরভাগের সাথে যুক্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এরই বিরুদ্ধে আমাদের আজকের সমাবেশ। যতদিন না ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধ হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন চলতে থাকবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।