Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবার সীমান্ত বন্ধ করছে জার্মানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

অস্ট্রিয়া ও চেক সীমান্তে করোনা ভাইরাসের আরো ছোঁয়াচে সংস্করণ ছড়িয়ে পড়ায় জার্মানি রবিবার থেকে কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করতে চলেছে। ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আবার সতর্ক করে দিয়েছে ডাব্লিউএইচও।

করোনা সংকট মোকাবিলা করতে হলে শুধু দেশের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিলে চলবে না, বড় বিপদ আটকাতে প্রয়োজনে সীমান্ত বন্ধ করার মতো চরম সিদ্ধান্তেরও প্রয়োজন। গত বছর সংকটের সূচনার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ মুক্ত সীমান্ত বন্ধ করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এবার কোভিড ১৯-এর ছোঁয়াচে সংস্করণগুলির গতি কমাতে আবার সেই পথেই এগোতে হচ্ছে কিছু দেশকে। জার্মানি চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত এলাকা ও অস্ট্রিয়ার টিরোল প্রদেশ থেকে মানুষের যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। চেক প্রজাতন্ত্রে করোনা ভাইরাসের ছোঁয়াচে ব্রিটিশ সংস্করণ ও টিরোল প্রদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্করণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। টিরোল থেকে অস্ট্রিয়ার বাকি অংশে যাতায়াতের উপরেও কড়া নিয়ন্ত্রণ চাপানো হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রও তিনটি জেলার ক্ষেত্রে একই রকম নিয়ন্ত্রণ চালু করছে।

স্যাক্সনি ও বাভেরিয়া রাজ্য জার্মানির ফেডারেল সরকারের উদ্দেশ্যে এই দুই অঞ্চলকে ‘ভাইরাস মিউটেশন এরিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করে সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দুই সীমান্তে চেকপয়েন্ট-সহ অন্যান্য কিছু ব্যবস্থা করছে। তবে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখলেও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্বার্থে পণ্যবাহী ট্রাক বা ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ করা হবে না। উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই জার্মানি কিছু দেশকে ‘ভাইরাস মিউটেশন এরিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখান থেকে মানুষের আগমন কার্যত বন্ধ রেখেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে করোনা সংকটের মোকাবিলার প্রচেষ্টা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। প্রায় দুই মাস ধরে কড়া লকডাউন কার্যকর করে জার্মানির মতো দেশ দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটা কমাতে পারলেও সেই সাফল্য কতকাল ধরে রাখা সম্ভব, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বৃহস্পতিবার ইউরোপে লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। ডাব্লিউএইচও-র ইউরোপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হান্স ক্লুগে বলেন, সংক্রমণের হার সার্বিকভাবে কমে গেলেও কিছু এলাকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ও আরও ছোঁয়াচে সংস্করণগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তার মতে, ইউরোপের প্রায় সব দেশই এই মুহ‚র্তে বিপদের মুখে রয়েছে। টিকার আশায় অপেক্ষা ও ভ্রান্ত নিরাপত্তাবোধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে হান্স ক্লুগে মনে করছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্ন কক্ষে এক ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আরো কিছুদিন ধৈর্য্য ধরার আবেদন জানিয়েছেন। বুধবার লকডাউনের মেয়াদ ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি এক দিনও লকডাউন কার্যকর করা হবে না। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করতে আপাতত এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। বিপদ কাটার আগে লকডাউন তুলে নিলে কিছুদিন পর আবার নতুন করে একই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে ম্যার্কেল সতর্ক করে দেন। তিনি আরো বলেন, অন্য কিছু দেশের তুলনায় জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতির কারণে মানুষের মনে যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন। তবে এ ক্ষেত্রেও ধৈর্য্যের আবেদন করেন তিনি। রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ