Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে রিজেন্ট সাহেদের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণা মামলা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৩২ পিএম

আবারও আলোচনায় রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ‘সিলেটী জামাই’ মো. সাহেদ করিম ওরফে ‘করোনা সাহেদ’। তার বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে সিলেট আদালতে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাটিজস্ট্রেট (৩য়) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন স্থানীয় জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী, ‘মাওলা স্টোন ক্রাশার মিল’র স্বত্বাধিকারী শামসুল মাওলা।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার এ প্রসঙ্গে জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে শামসুল মাওলার পক্ষ থেকে আগে থেকেই তিনটি মামলা দায়ের করা আছে। আজ বৃহস্পতিবার দায়ের করা হলো আরেকটি প্রতারণা মামলা । ব্যবসায়ী শামসুল মাওলাকে দেয়া সাহেদের একটি চেক তার বা তার কোম্পানির নয়। ভুয়া একটি চেকে (চেক নং- ৯০২৬৪৬৩০) ১০ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে শামসুল মাওলাকে প্রদান করেন সাহেদ। পরবর্তীতে সেটি অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের চেক বলে ধরা পড়ে। এ মর্মে বৃহস্পতিবার সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাটিজস্ট্রেট (৩য়) আদালতে আরেকটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এরআগে গত বছরের ৪ মার্চ সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার৩ টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। সাহেদের দেয়া ১০ লক্ষ টাকা করে ২ টি চেকে ২০ লক্ষ টাকা ও আরও একটি চেকে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় তিনি এ ৩ মামলা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা বিলম্বের পর গত ৮ নভেম্বর আলোচিত সেই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে বিবাদিপক্ষের আইনজীবী সাহেদের জামিনের আবেদন করলে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতের বিচারক হারুনুর রশিদ নাকচ করে সাহেদের বিরুদ্ধে জারি করেন গ্রেফতারি পরোয়ানা।

উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠার পর গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর আগে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। গ্রেফতারের পর ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে রাখা হয় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে। গ্রেফতারের আগে সিলেটের ব্যবসায়ীদের ঘিরে বিশাল প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলো ‘করোনা সাহেদ’। তার সেই প্রতারণার ফাঁদে ফেঁসে গিয়ে নি:স্ব হয়েছেন সিলেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। এরকমই একজন শামসুল মাওলা। সিলেটের জাফলং পাথর কোয়ারির একজন মধ্যম সারির ব্যবসায়ী। শামসুলের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার পাথর নিয়ে পুরো টাকাটাই মেরে দিয়েছে প্রতারক সাহেদ।

এদিকে, রিজেন্ট কেলেংকারিতে শাহেদ গ্রেপ্তার হয়েছে খবর পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরে গিয়ে হাজির হন শামসুল মাওলা। মামলার কাগজপত্র দেখান র‌্যাব কর্মকর্তাদের। পাওনা টাকা ফিরে পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পরে গত ৪/৩/২০২০ইং সিলেট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার তিনটি পৃথক প্রতারণা মামলা দায়ের করেন শামসুল মাওলা। আজ বৃহস্পতিবার আরেকটি প্রতারণা মামলা দায়ের করলেন সাহেদের বিরুদ্ধে তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ