গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৯ সদস্য রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন। আরেকজন গ্রহণ করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে।
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা হলেন- দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টর বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকাইয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আজিজুস সামাদ ডন, আব্দুল আউয়াল শামীম।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন দলটির বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। সেখানে তার সঙ্গে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন তার স্ত্রী এবং যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহ।
ভ্যাকসিন নিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সুস্থ আছি, স্বাভাবিক আছি। কোনও ধরনের সমস্যা অনুভব করছি না।’ তিনি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নির্ভয়ে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অংশ এখানে টিকা গ্রহণ করেছে। দলের জনপ্রতিনিধি এবং মন্ত্রীরা ইতোমধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন। আজ আমরা একটি সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিলাম। পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা খুবই আগ্রহী টিকা পেতে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০২০ সালের বাজেট অধিবেশনে জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যখনই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে, প্রথম সুযোগেই বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তিনি তা সুনিশ্চিত করবেন। তিনি কথা রেখেছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৭০ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছি এবং পর্যায়ক্রমে ১৩ কোটি মানুষকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টিকা প্রদান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, যেখানে উন্নত রাষ্ট্র ইউরোপ-আমেরিকায় মানুষ টিকা পাচ্ছে না, সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের নাগরিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা টিকা নিয়েছি। আমরা দেশের মানুষকেও আহ্বান জানাবো, পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারাও টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করবেন।
ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই টিকা এনেছেন প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে। উনি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কৃষি, শিক্ষা খাতের মতোই বিষয়টিকে দেখছেন। মহামারির ভয়াল এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য উনি টিকার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।