Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় যাচাই-বাছাইয়ের আওয়াতাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ পড়ার আতঙ্কে উদ্বেগ উৎকন্ঠা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:৩১ পিএম

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ার আতঙ্কে এক ধরণের উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে যাচাই বাছাইয়ের আওয়াতাভুক্ত কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের ভিতরে। তারা কেউ কেউ যাচাই বাছাইয়ে বাদ না পড়ার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় মুখ মলিন করে উপজেলা চত্বরে ঘোরা ঘুরি করছেন। এদিকে যাচাই বাছাইয়ে অংশ গ্রহণ করে প্রত্যাশানুযায়ী প্রতিশ্রুতি না পেয়ে কুশলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,সামচুল হক মিয়া,আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মিয়া,রামশীল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি রামানন্দ ঢালী,রাজাপুরের বিশ্বনাথ রায়, ভীস্মদেব রায়,,হর গোবিন্দ অধীকার,,সুনীল বিশ্বাস,সান্তি মধু,নৈয়ারবাড়ীর বিনয় সরকার সহ আরো অনেক কে কয়েকদিন ধরে উদ্বেগ উৎকন্ঠা নিয়ে ঘোরা ফেরা করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে একদল মুক্তিযোদ্ধা বলছেন অ-মুক্তিযোদ্ধা যারা তাদের নাম বাদ পরাটাই স্বাভাবিক আর যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদেরই টিকে থাকার কথা,কারণ অ-মুক্তিযোদ্ধাদের ভীরে আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য অনেকে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে কয়েকটি মাধ্যমের পিছে বিরতিহীন ভাবে ঘোরা ফেরা করছেন তবে কেউ মুখ খুলছেন না তারা শুধু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের অপেক্ষা করছেন। অপরদিকে যাচাই বাছাইকে কেন্দ্র করে অর্থের বিনিময় পক্ষে সাক্ষী ক্রয় করার খবর শোনা যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যাহা কিছু প্রয়োজন তাহাই করছেন। কোটালিপাড়া এখন সর্বত্রেই আলোচনায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই নিয়ে।

এর আগে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৩০ জানুয়ারি কোটালীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করে ৬ ফেব্রুয়ারী সম্পন্ন হয় কিন্তু এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ না করায় উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেরেই চলেছে যাচাই-বাছাইয়ে অংশ গ্রহণ করে সাক্ষাতকার দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করে

যাচাই-বাছাই করেন যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব লুৎফর রহমান শেখ, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান, সদস্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার হাজী আদ্বুল মালেক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়াবুর রহমান সরদার।

এ উপজেলায় সর্বমোট ৩ শত জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৩ শত জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জনকে খ এবং গ তালিকায় রাখা হয়েছে এসব মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের পক্ষে পর্যাপ্ত কাজগপত্র প্রমাণ করতে না পারায় বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন বাদ পড়ার শঙ্কায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আতঙ্কিত ও শঙ্কিত তারা দ্রুত ফলাফল জানতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশ সরদার বলেন যাচাই-বাছাই সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে আমার জানামতে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়েছে অচিরেই প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এব্যাপারে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব লুৎফর রহমান শেখ ও সদস্য সাবেক কমান্ডার সরদার হাজী আব্দুল মালেক এর কাছে যাচাই-বাছাইয়ে কতজন বাদ পড়েছেন জানতে চাইলে তারা বলেন সঠিক সংখ্যাটা এখনই বলা যাচ্ছেনা অনেকে অপেক্ষমাণ রয়েছে তবে ২০-২২ জন হতে পারে বলে ধারণা দিয়ে বলেন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হলে সব জানাযাবে।

কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান এর কাছে যাচাই-বাছাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনও চূড়ান্ত হয়নি চূড়ান্ত হলে জানানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোপালগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ