মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লিবিয়ায় নবগঠিত অন্তবর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। অস্থায়ী সরকারকে সমর্থন দিতে দেশটির বিবদমান পক্ষগুলো ও আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
লিবিয়ান পলিটিক্যাল ডায়ালগ ফোরাম (এলপিডিএফ) দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে। মোহাম্মদ আল মেনফি এই সরকারের প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের প্রধান হয়েছেন এবং আবদুল হামিদ দবিবেহ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। গত কয়েকদিন সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পর আসে এ সিদ্ধান্ত। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়ার রাজনীতিতে চলছে চরম অস্থিতিশীলতা। রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত সরকারের হাতে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী খলিফা হাফতারের হাতে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, অস্ত্রবিরতির পর নির্বাচনের প্রস্তুতি সত্যিই সুখবর। এর অর্থ হলো সঠিক পথেই যাচ্ছে লিবিয়া। আমার বিশ্বাস নতুন পদক্ষেপ নিয়ে কারও আপত্তি থাকবে না। বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে তাদের সমর্থনও জানিয়েছে। লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন কর্তৃপক্ষের সাথে সবার সহযোগিতা জরুরি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে এই সমঝোতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় লিবিয়ার সংঘর্ষরত পক্ষগুলোর মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় তাতে বলা হয়েছিল, লিবিয়ায় মোতায়েন সব বিদেশি সেনা ২৩ জানুয়ারির মধ্যে দেশটি ত্যাগ করবে। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো দেশ তার সেনা প্রত্যাহার করেনি। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে মোতায়েন সরকার আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট এবং তুরস্কও ত্রিপোলি সরকারকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী জেনারেল হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।
স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে সিএনএন জানিয়েছে, লিবিয়ার সির্ত শহরের কাছে বহু কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ‘রাশিয়ার সেনা’ মোতায়েন রয়েছে। দৃশ্যত লিবিয়ায় যেকোনো সমঝোতা থেকে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেওয়ার জন্য রাশিয়া ও তুরস্ক তাদের সেনা মোতায়েন রাখতে চায়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, লিবিয়ায় প্রায় ২০ হাজার বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।