পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্ক এবং তার আশপাশের এলাকা থেকে কুর্দি বিদ্রোহী এবং আইএস নির্মূলের অঙ্গীকার
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক কখনোই সন্ত্রাসবাদের কাছে হার মানবে না। যে কোনো মূল্যে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসীদের পরাভূত করা হবে। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানটেপ শহরে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী এক বিশাল সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গত সপ্তাহে এই শহরটিতে কুর্দি জনগোষ্ঠীর এক বিয়ের অনুষ্ঠানে চৌদ্দ বছর বয়সী এক কিশোরের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৪ শিশুসহ ৫৪ জন নারী-পুরুষের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এরদোগান বলেন, এই বিশ্বাসঘাতকরাই (সন্ত্রাসীরা) একদিন তাদের চালানো কর্মকা-ের ফলস্বরূপ রক্তে নিমজ্জিত হবে। এক্ষেত্রে তুরস্ক কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন বা সন্ত্রাসের পদ্ধতির কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
গাজিয়ানটেপের হামলার জন্য কুর্দি বিদ্রোহী ও আইএসআইএলকে দায়ী করলেও সব সন্ত্রাসী গ্রুপ একই উদ্দেশ্যে পরিচালিত বলে উল্লেখ করেন এরদোগান। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি একই মুখের পেছনে তারা সবাই। এদের বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনী বর্তমানে অভিযান পরিচালনা করছে। সেখানে তুর্কি বাহিনীর সমর্থনে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির পরিচালিত যুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহী পিকেকে এবং আইএস’কে কঠিন মূল্য দিতে হচ্ছে। তুরস্কের অভ্যন্তরে কিংবা এর সীমানার আশপাশে কোনো ধরনের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কার্যক্রম সহ্য করা হবে না। জাতীয় পতাকাসহ সমবেত বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে তুর্কি বাহিনীর সফল অভিযানে সিরিয়ার জারাবুলাস শহরকে আইএসআইএল মুক্ত এবং ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুর্কি বাহিনীর প্রশিক্ষণ মিশনের বিষয়টি উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, এই জন্য আমরা আজ জারাব্লুস এবং বাসিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে, আমরা অন্যান্য অঞ্চলের দায়িত্ব নিতে দ্বিধা করব না।
তুরস্ক এবং তার আশপাশের এলাকা থেকে কুর্দি বিদ্রোহী এবং আইএস নির্মূলের বিষয়ে তিনি ফের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি গত সপ্তাহে বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। এদিকে হুররিয়াত ডেইলি নিউজের খবরে বলা হয়, ওইদিনের ঘটনায় আহতদের দেখতে রোববার গাজিয়ানটেপে পৌঁছে প্রথমেই এরদোগান হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান। সেইসঙ্গে হামলায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় এরদোগানের সঙ্গে তার স্ত্রী এমিনি গুলবারান এরদোগান ছিলেন। আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।