বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার হাজার হাজার মেট্টিক টন সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। ফলে রোদে পুড়ে ও কুয়াশায় ভিজে নষ্ট হচ্ছে সারগুলো। এদিকে বস্তা ছিড়ে ফাঁটা ও নষ্ট-পঁচা সার ডিলারদের নিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডিলাররা শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সার গ্রহণ না করায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চলতি মওসুমে কারখানার কমার্শিয়াল এরিয়ায় সার সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিসিআইসি’র তালিকাভূক্ত ডিলারদের যমুনা সার কারখানা থেকে প্রতি ট্রাকে ১২ মে. টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে কারখানার উৎপাদিত ১১ মে. টন ও বাইরে (কাফকো) থেকে আমদানিকৃত ১ মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
আমদানিকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে গুদামের বাইরে খোলা আকাশের নিচে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে সারগুলো রোদে পুড়ে ও কুয়াশায় ভিজে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সারের বস্তাগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাঁটা, জমাটবাধাঁ, গলিত ও পঁচা থাকায় এসবের গুণগত মান নাই। তবুও এসব নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে ডিলারদের অভিযোগ। তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মানিক জানান, আমদানিকৃত ১ মে. টন সার জমাটবাধাঁ ও গলিত, যা কৃষকের কাছে বিক্রি অযোগ্য। প্রত্যেক ডিলারের গুদামে আমদানিকৃত সার আটকা পড়ে গেছে। ফলে প্রতি ট্রাকে ১৬ হাজার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।
প্রতিকার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে কারখানার কমার্শিয়াল এরিয়ার ১৯ জেলার ডিলাররা সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার বিক্রয় বিভাগের ইনচার্জ ওয়ায়েছুর রহমান বলেন, কারখানায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত ২১ হাজার মে. টন ও যমুনার উৎপাদিত ৬২ হাজার মে. টন সার বর্তমানে মজুদ রয়েছে। ডিলারদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১২ মে. টনের মধ্যে যমুনার ১১ মে. টন ও আমদানিকৃত ১ মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু আমদানিকৃত সার নিম্নমান বলে অভিযোগ করে ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর একই কারণে ডিলাররা সার সরবরাহ বন্ধ করেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। পুনরায় কর্তৃপক্ষ একই কাজ করায় ফের ডিলাররা আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।