পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অতিরিক্ত মদপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে আজিমপুরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গতকাল তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, নেহাকে গ্রেফতারের পর কিছু ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ডিজে নেহার উদ্যাম নাচানাচি। পুলিশ বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টির আয়োজন করত ডি জে নেহা, চলত উদ্যাম নৃত্য।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, নেহা ও আরো যারা ছিল তাদের কাজই ছিল প্রতিরাতে রাজধানী বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টির আয়োজন করা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পার্টিতে অ্যাটেন্ড করা ও নাচ গান করা। এটা তার পেশা ছিল। মোবাইলেও তার এ ধরনের প্রমাণ পেয়েছি। আরাফাত ও মাধুরির মৃত্যুর মূল কারণই ছিল অতিরিক্ত মদ্যপান করা।
হারুণ অর রশীদ বলেন, এ মামলার আসামি ৫ জনের মধ্যে আরাফাত মারা গেছেন। মামলার অন্য আসামি রায়হান ও নুহাত আলম তাফসীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ নেহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি রয়েছে একজন। এরও আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরের (২১) পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ জানুয়ারি বিকালে মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে স্কুটার করে লালমাটিয়ায় আরাফাতের বাসায় নিয়ে যান। পরে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের ‘বাম্বুসুট রেস্টেুরেন্টে’ যান। সেখানে আসামি নেহা, শাফায়েত জামিলসহ আসামিরা মদ পান করেন এবং ভিকটিমকে মদ পান করান।
একপর্যায়ে ভিকটিম অসুস্থবোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর রাতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেয়। অসিম পরদিন এসে ভিকটিমকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ভিকটিম মারা যান। তদন্ত সূত্র জানায়, রিমান্ডে রায়হান পুলিশকে জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সূত্র ধরে তাদের মাঝে প্রায়ই শারীরিক সম্পর্ক হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।