পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফের তালিবানের ছোবলে রক্তাক্ত আফগানিস্তান। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন নিরাপত্তারক্ষী। এই হামলার ফলে কাবুল ও তালিবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলোনিউজ-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের খান আবাদ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের একটি চেকপোস্টে হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা। অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল ও রকেট লঞ্চার নিয়ে সরকারি বাহিনীর উপর আচমকা আঘাত হানে জেহাদিরা। ফলে সামলে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন সৈনিকের মৃত্যু হয়। ওই হামলায় সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে আফগান ফৌজ।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে বিগত কয়েক দশক থেকেই রক্তাক্ত আফগানিস্তান। পাহাড়ি দেশটিতে শান্তি ফেরাতে ২০১৯ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে তালিবান। তারপর দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে সিলমোহর দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর কাতারেই মার্কিন পৌরহিত্যে আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এর ফলে পাহাড়ি দেশটিতে ফের একবার বন্দুকের গর্জন থামবে বলে আশা জেগেছিল সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু সেই আশায় পানি ঢেলে প্রাথমিকভাবে কাবুলের সরকারি প্রতিনিধি ও তালিবান নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি কোনও আলোচনাই হয়নি। ফলে থমকে গিয়েছিল গোটা শান্তি প্রক্রিয়া। যদিও পরে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মাঝেই একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে আফগানিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।