পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই দরিদ্র মানুষ বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুত হারে। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সায়েমের দেশজুড়ে চালানো এক জরিপে এমন তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায়, গত ২ বছরে রাজধানীতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে আড়াইগুণের বেশি। আর অতিদরিদ্র ৪ গুণের বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের হার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে। যেখানে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখন বাস করছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির চাকা খুললেও মানুষের আয় হচ্ছে না আগের মতো। কারো কারো ক্ষেত্রে যে ক্ষত হয়তো সারবে না কখনোই।
ঢাকায় বসবাসরত প্রতি ১০ জন মানুষের ৮ জনেরই জন্ম এখানে নয়। ভাগ্য পরিবর্তনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাড়ি জমিয়েছেন রাজধানী ঢাকা শহরে। তবে যে ঢাকা ছিল স্বপ্ন দেখার সারথী সেখানেই এখন ভালো নেই মানুষ।
সম্প্রতি সায়েমের এক জরিপে দেখা যায়, দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে ঢাকাতেই দারিদ্র্য বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে। ২০১৮ তে যেখানে প্রতি ১০০ জনে ১৪ জন দরিদ্র মানুষ ছিল, মাত্র ২ বছরের মাথায় সেই সংখ্যাই আড়াই গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ১০০ জনে ৩৯ জন। তবে দরিদ্রের চেয়েও বেশি দ্রুত হারে বেড়েছে অতিদরিদ্রের সংখ্যা। প্রতি ১০০ জনে ৬ জন থেকে তা এখন ২৯ জন। অর্থাৎ ঢাকার ৪ জন দরিদ্র মানুষের ৩ জনই এখন অতিদরিদ্র।
সায়েমের তথ্যমতে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির দিক দিয়ে ঢাকার পরেই সিলেট, এরপরে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এ দুই বিভাগেই গেল ২ বছরে দরিদ্র মানুষ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। তবে সিলেটের চেয়ে চট্টগ্রামে অতিদারিদ্র্য বেড়েছে বেশি দ্রুত হারে। বন্দরনগরে অতিদরিদ্র মানুষ ৩ গুণের বেশি বেড়ে এখন প্রতি ১০০ জনে ১৯ জন, আর সিলেটে প্রায় ৩ গুণ বেড়ে ১০০ জনে ২৭ জন।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৮ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম হারে দারিদ্র্য বেড়েছে বরিশালে। সাড়ে ২৫ শতাংশ থেকে তা এখন ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ঢাকায় সবচেয়ে দ্রুত হারে দরিদ্র মানুষ বাড়লেও দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে, এরপরে রাজশাহীতে। এ দুই বিভাগের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে।
সায়েমের গবেষণায় দেখা যায়, আয় কমে যাওয়ায় গত ২ বছরে দেশের অতিদরিদ্র মানুষ খাবার কিনতে আগের চেয়ে ৩০ ভাগ খরচ কমিয়েছেন আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে কমিয়েছেন ৬৩ ভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।