মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদানে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে তার অন্যতম হচ্ছে ইসরায়েল। তাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশি লোককেই ইতোমধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য পরিস্থিতিটা একেবারেই উল্টো। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইসরাইলের নেয়া টিকাদান কর্মসূচিতে, ইসরাইলী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চরম বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিস'র ফিলিস বেনিস, কাতারের আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইসরাইল সেখানে দখলদার শক্তি, তাই তাদেরই দায়িত্ব ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রদান করা।
ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার বাসিন্দারা তাদের প্রথম ভ্যকসিনের চালানটি পেয়েছেন গত শনিবার, তাও তা পরিমাণে খুবই কম। পাশাপাশি বাস করা দুটি জনগোষ্ঠী- যারা অনেক সময় পাশাপাশি বসে কাজও করে, তাদের মধ্যে যে কতটা অসাম্য বিরাজ করছে তা ফুটে ওঠে বিবিসির সংবাদদাতা ইয়োল্যান্ডে নেল-এর এই একটি দৃষ্টান্ত থেকেই। তিনি জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বেশ জটিল।
ইসরাইল সরকার ১৬ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে করোনার টিকা দিয়ে যাচ্ছে; তবে পশ্চিম ও গাজা অঞ্চলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইসরাইলের দেয়া মাত্র ২০০০ টিকা প্রাপ্তির কথা জানায়, যা সম্মুখভাগ স্বাস্থ্য কর্মীদের নিমিত্ত দেয়া হয় ও ফিলিস্তিনি জনগণ, এ মাসের শেষ ভাগে রাশিয়ার 'স্পুটনিক' ভ্যাকসিনের সরবরাহ পাচ্ছেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনী গান্টজ বলেছেন, ইসরাইলে যখন লক্ষ লক্ষ জনগণ কাজ করছেন এবং পশ্চিম তটে যেহেতু, হাজার হাজার ইহুদি বসতিকারীরা বসবাস করছেন, ইসরাইলকে অবশ্যই, তাদের ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীদের টীকাদানে সহায়তা দিতে হবে।
অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের সেরা হাসপাতালগুলোর একটি অগাস্টা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা। এই এলাকাটির ওপর ইসরায়েলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
সেখানে দেখা যায়, হাসপাতালটির ফিলিস্তিনি ডাক্তার ড. ফাদি আল-আতরাশ এবং অন্য সব চিকিৎসাকর্মীকে টিকা দিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডা. ফাদির কাছে আসা ফিলিস্তিনি রোগীরা টিকা পাচ্ছেন না। এই রোগীরা এসেছেন অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে।
ডা. ফাদি বলছিলেন, আমি টিকা পেয়েছি কিন্তু তামি স্বস্তি বোধ করছি না। কারণ আমরা আমাদের রোগীদের কাছে বা পশ্চিম তীর ও গাজায় থাকা আমাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে টিকা পৌঁছাতে পারছি না।
এখানে একটা অসাম্যের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যখন আপনি দেখবেন যে আপনি টিকা পাচ্ছেন কিন্তু আপনার জনগণের অন্য একটা অংশ পাচ্ছে না তখন আপনি খুশি হতে পারবেন না- বলেন ডা. ফাদি।
ফিলিস্তিনি অন্য এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এখন আরো বিপন্ন অবস্থায় আছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।