বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের ষোলশহরে ডানকান পাহাড়ের গাছ কাটা এবং বহুতল ভবন নির্মাণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে গাছ কাটা এবং ভবন নির্মাণ বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত রিটের শুনানি শেষে গত সোমবার বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গতকাল মঙ্গলবার রুলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীর কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার।
রুলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় ও গাছকেটে চট্টগ্রামের ষোলশহরে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে ডানকান পাহাড় এলাকায় বহুতল নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ পাহাড়-কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এবং দ্য সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেডকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট সজল মল্লিক গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত রুল জারি করেন। গতবছর ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত ‘ডানকান হিলে সানমার ২৫ তলার দুই টাওয়ার!’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ষোলশহর বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডানকান হিল কেটে ২৫ তলার দুই টাওয়ার নির্মাণের আয়োজন করেছে স্যানমার। নগরীর অন্যতম খ্যাতনামা আবাসন কোম্পানি সানমার প্রপার্টিজ এই টাওয়ার নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে শতাধিক গাছ সাবাড় করেছে। আরও গাছ কাটার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে মাটিকেটে চলছে নির্মাণ প্রক্রিয়া। অথচ গাছ কাটার জন্য বন বিভাগ থেকে কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। পাহাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকেও কোনো ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। ষোলশহর বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতাধীন জীববৈচিত্র্যগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি এলাকাটি এখন ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ডানকান হিলে ২৫ তলা ভবনের অনুমোদন দিয়েছিল নগর উন্নয়ন কমিটি। তবে ২০১৩ সালের দিকে দেয়া সেই অনুমোদন ইতোমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে। অনুমোদনে তিন বছরের মধ্যে কাজ শুররু করার শর্ত থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।