Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষক ঠেকাতে রাস্তায় পেরেক, ব্যারিকেড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাস্তা জুড়ে থরে থরে সাজানো কংক্রিটের ব্যারিকেড। ৩-৪ স্তরে কাঁটাতারের বেড়া। তার ঠিক পিছনেই আবার কংক্রিটের ব্যরিকেডের মাঝে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। প্রতিটি ব্যারিকেডের ঠিক পরে রাস্তায় পুঁতে রাখা হয়েছে সার সার গজাল আর পেরেক। তিন-চার স্তরীয় ব্যারিকেডের পিছনে আড়াআড়ি ভাবে দাঁড় করানো পুলিশের গাড়ি, বাস। আর তার সঙ্গে সতর্কিত পুলিশের টহল। সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজিপুর—দিল্লির ৩ সীমানাকে এ ভাবেই নিরাপত্তার দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। দেখে মনে হতে পারে, এ যেন দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। গাজিপুর-মেরঠ হাইওয়ে ধরে উত্তরপ্রদেশ থেকে কৃষকরা দিল্লিতে যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য সেই হাইওয়ের উপর ৪ স্তরীয় নিরাপত্তার দেওয়াল তোলা হয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় হাইওয়েতে অস্থায়ী ইট, সিমেন্টের দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। গাজিপুর সীমানাকে দেখে মনে হবে যেন সেখানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কয়েকশো পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স-এর জওয়ানরা সর্বক্ষণ নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। নজরদারি চালাতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। টিকরি সীমানাতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। বেশ কয়েক স্তরে নিরাপত্তার দেওয়াল তোলা হয়েছে সেখানে। রাস্তার উপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পেরেক আর গজাল। যাতে কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে এগোতে গেলে সেখানেই আটকে যান। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পর আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিল্লি প্রশাসন। সে দিন ব্যারিকেড দেওয়ার পরেও তা ভেঙে ফেলেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। ঢুকে পড়েছিলেন লালকেল্লায়। শনিবার থেকে দেশ জুড়ে ‘চাক্কা জ্যাম’ এবং আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে ওই ৩ সীমানাকে। এই ৩ জায়গাতেই দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। প্রশাসন যখন নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর, তার ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়ল আন্দোলনকারী কৃষক শিবিরে। তারা কিন্তু নির্বিকার। রাস্তার উপর সারি সারি ভাবে বসে রয়েছেন। সেখানেই খাওয়াদাওয়া সারছেন। রাস্তার উপরই মাদুর, চাটাই বিছিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনের। এবিপি, এসএএম।

 

 



 

Show all comments
  • Mohammad Zainal Abedin ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:১৩ এএম says : 0
    The report uncovers the falsity of the largest of India. It brilliantly shows and proves that there is no real democracy in India. Holding election doesn't means that there democracy in India. India is the only country whose army and other forces kills the Indians. If India is a democratic how the farmers peaceful protest is disrupted? Why their vehicles were punctured, or damaged or blocked? Why Indian army kills the Kashmiris, Maoists, Sheikhs, and the people of Northeastern region? Indian democracy fake. It denies its people to enjoy democracy.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ