Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কূল ছেড়ে কলংকীনি, সিলেটে এক পরকীয়া প্রেমিকা !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১৬ পিএম

কূল ছেড়ে কলংকীনি হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন এক পরকীয়া প্রেমিকের টানে। কিন্তু পরকীয়া প্রেমিক তার পাশে নেই। ঘরে তুলছে না পূর্বের স্বামী পরিবার, মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাবার বাড়ির লোকজনও। সবকূল হারিয়ে দিশেহারা এখন ওই গৃহবধূ তাহমিনা।

গত ৯জানুয়ারি ২ অবুঝ সন্তানকে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন পরকীয়া প্রেমিকের কাছে তাহমিনা। সিলেট সদর জালালাবাদ থানার কেমিদপুর (ভুলতা) গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী কবির মিয়ার স্ত্রী ছিলেন তাহমিনা বেগম। তার পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জের রায় সন্তুষপুর গ্রামে। গ্রামের মৃত আক্তার আলীর কন্যা তাহমিনা। তাহমিনা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরদিন (১০ জানুয়ারি) মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন প্রবাসী কবির মিয়ার মা ছফিনা বেগম। সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন, তাহমিনা পালানোর সময় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। তাহমিনার স্বামী কবির আহমদ বসবাস করেন।সৌদি আরবে। সৌদি আরবেও বসবাস করেন টুকেরবাজারের ভবতীপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়া। ওই নুরুর সঙ্গে ইমো ও হোয়াটসআপের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠে তাহমিনার। সম্প্রতি দেশে এসেছেন পরকীয় প্রেমিক নুরু মিয়া। তারপর পারস্পরিত সাক্ষাত ঘটে তাহমিনার। একপর্যায়ে গত ৯ জানুয়ারি রাতে নুরুর সঙ্গেই পানিয়ে যান তাহমিনা। এঘটনার পর তাহমিনাকে ডাকযোগে তালাকনামা প্রেরণ করেন স্বামী কবির মিয়া। ঘটনার ২৪ দিন পর গত সোমবার দিবাগত রাতে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন তাহমিনা। কিন্তু সেই অধিকার দেয়নি স্বামীর বাড়ির লোকজন। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। পরবর্তীতে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তারা তাহমিনাকে । কিন্তু বাবার বাড়ির কেউও তাকে আশ্রয় দিতে রাজি হননি তাকে। কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাহমিনাকে পুলিশ হেফাজতে রাখেন এসএমপির জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, আগের বিয়েটাও প্রেমের সম্পর্কে হওয়ায় এমনিতেই তার উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন তাহমিনার বাবার বাড়ির লোকজন। সেকারণে নতুন এ ঘটনায় তারাও দায় নিতে চাচ্ছেন না তাহমিনার। আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে তাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ