পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্যাতনের কথা পুরুষ পুলিশকে জানাতে হয় বলে দেশের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ভুক্তভোগী নারীই থানায় যান না। তাই প্রত্যেক থানায় একজন করে নারী পুলিশ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে, যাতে একজন নারীর কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরতে সমস্যা না হয়।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) আয়োজিত অনলাইনে ‘অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন’ রাউন্ড টেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার সৈয়দ নাসিরুল্লাহ। তিনি বলেন, পুলিশ বিভাগ থেকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে- কীভাবে নারীদের সমস্যা বা অভিযোগগুলো আরো নির্দিষ্ট করে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তবে, এ সংক্রান্ত প্রত্যেক সরকারি সংস্থা বা বিভাগকে একসঙ্গে বসে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে শুধু আলোচনাই হচ্ছে। এবার বাস্তবায়ন শুরু করা উচিত।
দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন। তাদের ট্রেনিংয়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আইএসপিএবির আমিনুল হাকিম বলেন, ২০০৬ সালে আইএসপিএবি থেকে একটি ইমারজেন্সি সাইবার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। সেক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তখন সচেতনতা তৈরি করায় আমরা অল্প পরিসরে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে যেমন বুকলেটের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে করণীয় প্রচারণা। এ বছর সেটা বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিসিএসের প্রেসিডেন্ট শাহিদ উল মুনির আমিনুল হাকিম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-১ আইনটি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন হবে না। অনেক সময় সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলেও ভিকটিম তা বুঝতে পারে না। ভিকটিমকে এই আইন সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন করতে হবে যাতে সে নিজেই এই বিষয়ে মোকাবিলা করতে পারে। সবাই মিলে কাজ শুরু করে দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, মেয়েদের সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না শুধু সাহস এবং সাইবার আইন সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা ধারণার অভাবে। এসব এসব বিষয়ে হাইটেক পার্ক অথোরিটিতে এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এ বছর থেকেই সাইবার আইনটি সম্পর্কে ভিকটিমদের সচেতন করা এবং থানায় অভিযোগ করানোর বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে সবার সমন্বয়ে কাজ শুরু করতে হবে জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ সময় নোভা আহমেদ, দেশের নারী ভিকটিমদের সম্পর্কে কোনো রিসার্চ আছে কিনা তা নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিদেশী অতিথিদের কি- নোট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শুরু হয় বিডিওএসএন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন। সেলিব্রেশনে আইটি সেক্টরের উদ্যোক্তা, এক্সপার্ট, নীতিনির্ধারক, চাকরিজীবীরা তাদের জীবনের গল্প বলেন ও নানাদিক নির্দেশনা দেন শিক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য, অ্যাডা লাভলেস বিশ্বের প্রথম নারী প্রোগ্রামার ও বিখ্যাত ব্রিটিশ কবি লর্ড বায়রনের মেয়ে। তাকে স্মরণ করতে তার নামে এই উদযাপন করে থাকে বিডিওএসএন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। উপস্থিত ছিলেন, হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, এনডিসি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আইএসপিএবি’র প্রেসিডেন্ট আমিনুল হাকিম ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি বিসিএসের প্রেসিডেন্ট শাহিদ উল মুনির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।