বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থেকে তৃতীয় দফায় প্রথম ট্রিপে যাওয়া এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। ২ট্রিপ আজ জুমাবার উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।
গতকাল ও আজ সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি বেলা ২ টার দিকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ৫টি জাহাজ করে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা সেখানে পৌঁছায়। সংশ্লিষ্ট সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌ-বাহিনীর ৫টি জাহাজ।
বৃহস্পতিবার ২৮ জানুয়ারী এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীকে উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্প গুলো থেকে ৩৫টি বাসে করে চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার সাকল সাড়ে ৯ টার দিকে তাদের জাহাজে তোলা হয়। জাহাজে করে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ভাসনচরে গ্রহণ করেছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় দলটিকে ভাসানচরে নেওয়ার ঠিক এক মাস পরে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দলটি সেখানে গেল।
ভাসানচরে পৌঁছে এক রোহিঙ্গা মাঝি বলেন বাংলাদেশ সরকার তাদের নতুন প্রাণ দিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। এতদিন তারা বাসানচর না গিয়ে ভাল করেনি বলে জানান।
এর আগে গত বছরে ৪ ডিসেম্বরের এবং ২৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাসানচরে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০১ জন পুরুষ, ৯৮৭ জন নারী এবং ১৬৫৮ জন শিশু। এর আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নিয়ে যায় সরকার।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আগে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ৩৪ ক্যাম্পে বসবাস করছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপ কমাতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।