বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স সড়কের খৃষ্টান মিশন (বয়েজ হোম) এর পাশে এক মাদ্রাসার সুপার হাফেজ তার মাদ্রাসার ছাত্র ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জোরপূর্বক দখল ও লুটপাট করেছে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়ি-ঘর।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের আলীপুর খাঁপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুপারেন্টেন্ট হাফেজ মোস্তফা কামাল (৫৫) মাদ্রাসার ১৫ থেকে ২০ ছাত্র ও তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গোয়ালচামট এলাকার সরকারী স্কুল শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমান তুহিনের (৪৭) বসত বাড়ির গেট ও ঘরের ৬ টি তালা ভেঙ্গে দখল ও মালামাল লুটে নিয়েছে।
এ ঘটনায় আমিনুর রহমান তুহিন কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হাফেজ মোস্তফা কামালের দখলকৃত ঘরে তার নতুল লেপ,তোষকসহ মালামাল বের করে ঘরে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ফরিদপুর ১০৩ গোয়ালচামট মৌজায় বিগত ১৯৬৭ সালে আমেনা বেগম ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে উক্ত সম্পত্তি থেকে ২৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন এবং বাকী সাড়ে ৬ শতাংশ জমিতে ১৯৯৭ সালে চারচালা (চর্তুদিকে দেয়াল) একটি ঘর করেন। সেই ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পথিমধ্যে ২০০৪ সালে আমেনা বেগমের স্বামী আবুল হাসেম মারা যান এবং গত ২০১৭ সালে স্ত্রী আমেনা বেগম স্ট্রোক করে বিছানায় শয্যাশায়ী হন এবং তার স্বামীর দেশের বাড়ি যশোর গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে অন্য সন্তানেরা তার দেখাশোনা করছেন। এদিকে, আমেনা বেগমের চতুর্থ সন্তান আমিনুর রহমান ব্রাক্ষনকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করার কারনে ওই বাড়িতে ১৯৯৭ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন। এর মাঝে গত ৭ মাস আগে হাফেজ মোস্তফা কামাল সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষক আমিনুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দেন। এতে শিক্ষক আমিনর রহমান প্রানভয়ে বাড়ি-ঘরে তালা দিয়ে গোয়ালচামট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলে যান। পথিমধ্যে বৃহস্পতিবার (চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী) হঠাৎ হাফেজ মোস্তফা তার মাদ্রাসার ছাত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী লোহার রড ও মোটা পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর দখল করে নেয়। খবর পেয়ে শিক্ষক অমিনুর রহমান স্কুল থেকে এসে থানা পুলিশের আশ্রয় নিলে তারা সেখানে গিয়ে দখলকৃত বাড়ি-ঘর থেকে মোস্তফা কামালকে বের করে ঘরটিতে তালাবদ্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, বিগত ১৯৯৭ সালে আমার মায়ের টাকায় করা ঘরে থেকে আমি লেখাপড়া, চাকুরী, বিবাহ করে বসবাস করে আসছিলাম। সেমতে সেখানকার ঠিকানায় ভোটার আইডি কার্ড পাই। এমনকি আমার মা আমেনা বেগমের করা বাড়িতে বৈদ্যুতিক মিটার এবং পৌরসভার পানির সংযোগ তার নামে রয়েছে। এমতাবস্থায় আমার প্রাননাশের হুমকির কারণে আমার দখলীয় তালাবদ্ধ ঘরটি হাফেজ মোস্তফা কামাল তার গুন্ডাপান্ডা দিয়ে দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি সুবিচার পেতে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, আমি জরুরী কাজে একটু বাইরে ছিলাম। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।