পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। মেয়র ও ৫৪টি কাউন্সিলর পদের সবকটিতেই বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বিএনপি-জামায়াতের কেউই এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। ফলে সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদে বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাদের নয়জন প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন।
কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এমন অনেকে বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার চসিক নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ৫৫টি কাউন্সিলর পদের ৫৪টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি। এদিকে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পাওয়ায় আওয়ামী লীগে আনন্দের বন্যা বইছে। বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ থাকলেও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ও তাদের সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ-উল্লাস করছেন। পক্ষান্তরে হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে দলের নেতারা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় জনগণের রায়ের প্রতিফলন হয়নি। মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। ৫৫টি কাউন্সিলর পদের ৫৪টিতেই বিএনপি একক প্রার্থী দেয়। তাদের বিজয়ী করতে নেতাকর্মীরাও মাঠে ছিলেন।
তবে নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের ধরপাকড়ের কারণে তারা ছিলেন দৌঁড়ের মুখে। বিশেষ করে ভোটের কয়েকদিন আগে গণহারে বাসাবাড়িতে তল্লাশি ও হুমকি-ধমকিতে কর্মীদের অনেকে এলাকা ছাড়েন। ভোটের দিন নগরীর ৭৩৫ কেন্দ্রের প্রায় সবকটি থেকেই তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। অনেক এলাকায় তাদের প্রার্থীরা ভোটও দিতে পারেননি। সরকারি দলের কর্মী-ক্যাডারদের ভোটকেন্দ্রে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কারণে ভোটের ফলাফল এমন হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপির নেতারা। গত নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিএনপির পাঁচজন, জামায়াতের একজন, সংরক্ষিত পদে বিএনপির দুজন ও জামায়াতের একজন জয়ী হয়েছিলেন।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন- ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গাজী মো. শফিউল আজম, ২ নম্বর জালালাবাদে সাহেদ ইকবাল, ৩ নম্বর পাঁচলাইশে মো. শফিকুল ইসলাম, ৪ নম্বর চান্দগাঁওতে এসরারুল হক, ৫ নম্বর মোহরায় মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলোশহরে এম আশরাফুল আলম, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলোশহরে মোবারক আলী, ৮ নম্বর শুলকবহরে মোরশেদ আলম, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে জহুরুল আলম, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীতে নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীতে মো. ইসমাইল, ১২ নম্বর সরাইপাড়ায় নুরুল আমিন, ১৩ নম্বর পাহাড়তলীতে মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, ১৪ নম্বর লালখান বাজারে আবুল হাসনাত বেলাল, ১৫ নম্বর বাগমনিরামে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ১৬ নম্বর চকবাজারে সাইয়েদ গোলাম হায়দার, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়ায় মোহাম্মদ শহিদুল আলম, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়ায় নুরুল আলম, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজারে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ২১ নম্বর জামালখানে শৈবাল দাশ, ২২ নম্বরে এনায়েত বাজারে সলিম উল্লাহ বাচ্চু, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলীতে মোহাম্মদ জাবেদ, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদে নাজমুল হক ডিউক, ২৫ নম্বর রামপুরে আবদুস সবুর, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহরে মো. ইলিয়াছ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ নম্বর পাঠানটুলীতে নজরুল ইসলাম বাহাদুর, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়িতে গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়িতে আতাউল্লাহ চৌধুরী, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লায় জহর লাল হাজারী, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারে হাসান মুরাদ, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটায় পুলক খাস্তগীর, ৩৫ নম্বর বকশিরহাটে নুরুল হক, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গায় মো. মোর্শেদ আলী, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহরে আবদুল মান্নান, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহরে জিয়াউল হক সুমন, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গায় আবদুল বারেক ও ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গায় ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী।
সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মধ্যে জয়ী হয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌস বেগম, ২ নম্বরে জোবাইরা নার্গিস খান, ৩ নম্বরে জেসমিন পারভীন, ৪ নম্বরে তছলিমা বেগম, ৫-এ আঞ্জুমান আরা, ৬-এ শাহীন আকতার, ৭-এ রুমকি সেন, ৮-এ নীলু নাগ, ৯-এ জাহেদা বেগম, ১০-এ হুরে আরা বেগম, ১১-তে ফেরদৌসি আকবর, ১২-তে আফরোজা জহুর, ১৩-তে লুৎফুন্নেছা দোভাষ ও ১৪-তে শাহনূর বেগম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।