Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামফোবিয়া ও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহবান এরদোগানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৪ এএম

ইসলামফোবিয়া ও বর্ণবিদ্বেষ প্রতিরোধে বিশ্বের সবাইকে এক হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামোফোবিয়া এবং বর্ণবিদ্বেষ বহুগুণ বেড়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মরণ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির। এরদোগান বলেন, হলোকাস্ট, বসনিয়া, রুয়ান্ডা এবং কম্বোডিয়ার মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি আরও বলেন, মানবজাতি একটি কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছে এবং ‘বর্ণবাদ ভাইরাস’ মহামারির পাশাপাশি ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মসজিদ, উপাসনালয় এবং গীর্জার মতো উপাসনাস্থলে সহিংসতার ঘটনাগুলো ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরদোগান বলেন, বর্ণবাদী সন্ত্রাসবাদ একটি হুমকিতে পরিণত হয়েছে; যা সামাজিক শান্তি এবং জনগণের একত্রে বাস করার ইচ্ছা ক্ষু্‌ন্ন করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগত পরিচয়, ধর্ম, ভাষার বিরুদ্ধে সমাজের কিছু অংশের ঘৃণিত অপরাধ দিন দিন বাড়ছে। এরদোগান বলেছেন, বিশ্বের উচিত ইসলামোফোবিয়া ও জেনোফোবিয়া (ভিনদেশীদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) বন্ধে এগিয়ে আসা। এরদোগান বলেন, মানবতা বর্তমানে এক গুরুতর সময় পার করছে। মহামারীর সাথে সাথে বর্ণবাদের ভাইরাস সংক্রমণের হারও বেড়ে চলছে। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মসজিদ, সিনাগগ ও গির্জাসহ ইবাদতের স্থানগুলোতে সহিংসতার ঘটনা গুরুতরভাবে বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘দিনে দিনে জাতীয়তা, ধর্ম, ভাষা ও চেহারার ভিন্নতায় সমাজের অংশীদারদের বিরুদ্ধে ঘৃণা থেকে অপরাধের হার বেড়ে চলছে।’ তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া হলোকাস্ট, বসনিয়ার গণহত্যা, রুয়ান্ডার গণহত্যা ও কম্বোডিয়ার গণহত্যার চিহ্ন আজকের প্রক্রিয়াগত বৈষম্যকরণ, প্রান্তিকীকরণ ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বেড়ে যাওয়াতে দৃশ্যমান।’ প্রেসিডেন্ট এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে স্মরণচিহ্ন হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘শুধু প্রতিটি দেশের নৈতিক আচরণের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে না। ১৯৪৮ সালের জাতিসঙ্ঘ সম্মেলনের চুক্তির বাধ্যবাধকতার আওতায় গণহত্যার অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে।’ তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই বিষয়ে প্রতিটি ও প্রত্যেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও নেতৃত্বের অপরিহার্য দায়িত্ব রয়েছে। এই বিষয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে জানান এরদোগান। তিনি বলেন, ‘এইক্ষেত্রে আমরা খোলা-দুয়ার নীতি প্রয়োগ করছি। আমাদের দেশে ভ্ন্নি ভিন্ন বিশ্বাস, ভাষা ও জাতির যারাই আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের সবাইকে আমরা রক্ষা করছি।’ ইয়েনি শাফাক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ